জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে অনেক শিশুই চায়ের দোকান, মুদি দোকান বা পাথর ভাঙার কাজ করছে।
উপজেলার ভজনপুর বাজারের মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলামের ছেলে ইয়াকুব আলী বলে,"টাকা পয়সার অভাবে স্কুলে যেতে পারিনা।
"তিন বছর ধরে লেখাপড়া বাদ দিয়ে সংসার চালাতে অন্যের দোকানে কাজ করি।"
প্রায় সব শিশুর কথাই এক। সালমা আক্তার নামে আরেক শিশু জানায়, পরিবারকে সাহায্য করতেই সে চায়ের দোকানে কাজ করে।
গোলাব্দীগছ গ্রামের সাইফুল ইসলাম অভাবে জন্য স্কুলে যেতে পারেনা। সে মায়ের সাথে পাথর ভাঙার কাজ করে।
সুজন আহম্মেদ এসএসসি পাশের পর ভজনপুর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলেও সংসারের অসচ্ছলতার জন্য লেখাপড়া করতে পারছে না। বাবার সাথে ভজনপুর বাজারে সারা রাত জেগে চায়ের দোকানে কাজ করে।
সে বলে,"এসএসসি পাশ করেছি ঠিকই কিন্তু এখন আমার আর পড়া হবে না।"
জানায়, বাবা অসুস্থ। বাড়িতে চার ভাইবোন আছে। বড় দুই বোনের বিয়ের বয়স হয়েছে। এখন কাজ করতেই হবে। সারা রাতে মাত্র দুইশ বা তিনশ টাকা বেচা হয়। তারপরও জেগে থাকে ও।
যদিও লেখাপড়া আর সম্ভব না তবুও লেখাপড়া করে অনেক বড় হবে এই স্বপ্নই শুধু দেখে সুজন।