পীরগঞ্জ পাইলট হাই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্র জানায়, প্রেমে ব্যর্থতা আর পড়ালেখার চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে প্রতিদিন ৫-৬ টা সিগারেট খায়।
“মাঝে মাঝে ঘুমের বড়ি ও ট্যাবলেট একসাথে ২-৩টা খাই।”
ঘুমের বড়ি খেয়ে কী করে তা নিজেও জানে না সে বলে দাবি করে।
সে বলে, “কি করবো নিজের মনের কষ্টগুলো ভুলে থাকার জন্য নেশা করি।”
নবম শ্রেণির আরেক ছাত্র জানায়, পরীক্ষায় ফেল ও লেখাপড়ার চাপে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ায় বন্ধুর পরামর্শে সিগারেট ধরে।
নেশায় জড়ানোর কাহিনি বর্ণনা করতে গিয়ে গ্রামের এক ছাত্র বলে, “শহরে আসতাম কোচিং করতে।
“কোচিংয়ে এসে পরিচয় হয় কয়েকজনের সাথে। তারা মাঝে মাঝে আমাকে সিগারেট খেতে বলত।
স্কুল শিক্ষার্থীরা শুধু যে সিগারেটে আসক্ত তা নয়। অনেক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া অন্যান্য নেশায়ও আসক্ত।
তবে গাঁজা ও ফেনসিডিলে আসক্ত কারো সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রজব খান বলে, “আমার বন্ধুদের অনেকেই নেশা করে।
"তাদের নেশা করতে না করলে আমার সাথেই কথা কাটাকাটি হয়। তাদের সাথে আর কথা বলি না।”
পারিবারিক অসচেতনতাকেই শিক্ষার্থীদের মাদকে ঝোঁকার জন্য দায়ী মনে করেন পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহজাহান কবির বকুল।
তিনি বলেন, “আমি শ্রেণিকক্ষে মাদকের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের বলি। আবার অভিভাবকদেরও বলি ছেলের প্রতি নজর রাখবেন কোথায় যাচ্ছে কি করছে খেয়াল রাখবেন।”
মাদক সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে কোন পরিকল্পনা আছে কি না জানতে ফোন করি পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারকে।
তিনি জানান, প্রত্যেক স্কুলে মাদক নির্মূল কমিটি রয়েছে। এ কমিটি শিক্ষার্থীদের মাদকের কুফল সম্পর্কে জানায় ও সচেতন করে।
তিনি বলেন, “আমি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোন স্কুল পরিদর্শনের সময় শিক্ষার্থীদের মাদক সম্পর্কে জানাই।
"তাছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান অব্যাহত রেখেছি।"