২১ একরের চিড়িয়াখানা পাহারায় একজন

“এত বড় এলাকা দেখাশোনার জন্য রয়েছে মাত্র একজন গার্ড।" কথাটা রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর নাসিরুদ্দিনের।

চিড়িয়াখানার অব্যবস্থাপনার কথা বলতে গিয়ে একদল শিশুসাংবাদিককে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি সাংবাদিকতার এক প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে শিশু সাংবাদিকরা সেখানে যায়।

তাদের নাসিরুদ্দিন আরো জানান, চিড়িয়াখানায় ২৬ প্রজাতির ১৬৭টি পশুপাখি রয়েছে। আর এগুলোর চিকিৎসার সেবায় নিযুক্ত দুই জন ডাক্তার।

এ জেলার অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র এই চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায় পরিবেশ বেশ নোংরা। ঠিক মতো যত্ন নেয়া হয় না।

আয়তনে বেশ বড় হলেও তেমন পশুপাখি নেই। এখানে রয়েছে দুইটি সিংহ,  একটি  বাঘ, ১৫টি চিত্রা হরিণ, নয়টি বানর, আর কয়েকটি সজারু।

মাস চারেক আগে একটি সিংহ মারা গেছে।

সাদা বক, কানি বক, ঈগল, চিল, মদনটাক ও বেশকটি টিয়া পাখিও দেখা যায়।

অনেকেই চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখছেন। কথা হয় জাহিদুলের সঙ্গে।  এই দর্শনার্থী জানায়, পশু পাখির সংখ্যা কম হওয়ায় সে হতাশ। আর অব্যবস্থাপনা দেখেও ক্ষুব্ধ।

স্থানীয় তরুণ বাবুল বলে,"এখানে বাজে ছেলেদের উৎপাত খুব। ভেতরে চুরি-ছিনতাই-ও হয়।

এছাড়া ভেতরের দোকানগুলোয় খাবারের দাম অনেক বেশি বলেও অভিযোগ তার।

বেশিরভাগ খালি খাঁচা দেখে অনেকেই হতাশ হয়েছেন।

এমন কি খাঁচার সামনে ওই প্রাণি সম্পর্কে কোন তথ্য না দেয়া থাকার বিষয়টিও তুলে ধরেন কেউ কেউ।

এসব ব্যাপারে ডেপুটি কিউরেটর নাসিরুদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, " আমরা উপরে বলেছি। তারা অনেক দিন ধরেই বলছেন ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু হচ্ছে না। ”

তবে কয়েকজন পরিচর্যাকারী নেয়া হতে পারে বলেও জানান।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com