এমনই এক শিশু শ্রমিক নাসির। মাত্র আট বছর বয়সেই দুবেলা খাবারের জন্য করছে অমানুষিক পরিশ্রম।
ঝালকাঠী শহরের বাদশা শিকদার হোটেলে গিয়ে জানলাম, শিক্ষা বঞ্চিত অসহায় শিশু নাসিরের এই গল্প।
পরিবারের কথা জানতে চাইলে বলে, মা নেই আর বাবা রিকশা চালায়। অভাবের জন্য চার ভাই-বোনের তিনজনই থাকে আত্মীয়ের বাড়িতে।
সে বলে, সংসারের অভাবের কারণে পড়ালেখা শিখতে পারিনি। পেটের দায়ে কাজ করছি। লেখা পড়ার ইচ্ছা আছে কিন্তু উপায় নেই। কারণ পেটে ভাত নেই।
ছয় মাস ধরে এই হোটেলেই কাজ করছি। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়। তারপর সারাদিন তরকারি কাটা, পানি আনা, খাবার দেয়ার কাজ করতে হয়। এ সব করতে করতে রাত ১১টা বেজে যায।
এরপর রাতে দোকান পরিস্কার করে দোকানে টেবিলেই ঘুমাই।
সারাদিন এত কাজ করলেও কোন বেতন পায় না সে। শুধু দুবেলার খাবারেই সই।
হোটেল মালিক বাদশা শিকদার বলেন, "নাসির শিশু। বেতন পাওয়ার মত কাজ করতে পারে না।
“তাকে আমি কাজ শিখাচ্ছি। বেতন পাওয়ার মত কাজ শিখলেই তাকে বেতন দেয়া হবে।"