সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া আয়েশার মতো আরো অনেকের কলতানে মুখর এখন চট্টগ্রাম নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গণ।
শিশু সাংবাদিকদের এই উৎসবে আসা তাদের অভিভাবকরাও সমান উচ্ছ্বসিত। তারা বলছেন, বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমের এই উদ্যোগে সন্তানদের উৎসাহ দিতে পেরে তারা আনন্দিত।
‘আমার কথাও যাবে বহুদূর’ স্লোগানকে সামনে রেখে বিকাল ৫টায় শুরু হওয়া এই সম্মেলনের পর্দা নামবে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও অতিথিদের আলোচনার মধ্য দিয়ে।
স্কুল ম্যাগাজিনে লেখার অভ্যাস রয়েছে আয়েশার। আশা করছে, তা কাজে লাগবে সাংবাদিকতায়। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি সংবাদ, গল্প, নিজের মনের কথাও লিখবে সে।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সৈয়দা হুমায়রা ইসলামের তো বিশ্বাসই হচ্ছে না যে সে এখন সাংবাদিক। নির্বাচিত হওয়ার পর এখন শিশু সাংবাদিক হিসেবে দেশ গড়ায় ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি তার।
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট হাইস্কুলের ছাত্র ইউসুফ মুন্না ইতোমধ্যে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।
“আমার বাবা-মা বলছেন, পড়াশোনার বাইরে কিছু করতে। এখন নিজের মনের জানালা খুলে দেবে হ্যালো।”
নিজের জীবনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিশু সাংবাদিকতার এ সুযোগকে অনন্য বলছেন অরিত্র চৌধুরী।
বাছাইয়ে উত্তীর্ণ না হলেও উৎসবে অংশ নিতে মা-বাবাকে নিয়ে এসেছেন অর্পিতা বড়ুয়া।
“আমি লেখালেখি চালিয়ে যাব। হ্যালো’র সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখে যাব।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বার্তা সম্পাদক গাজী নাসির উদ্দিন আহমেদ, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মঈনুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে রয়েছেন।
উৎসবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছে খেলাঘর ও আবৃত্তি সংগঠন বোধন।
‘হ্যালো’র সাংবাদিক বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ২৩ জেলায় একযোগে চলছে এই শিশু সাংবাদিক উৎসব। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের উদ্যোগে এই উৎসবের অংশীদার গ্রামীণফোন।
শিশুদের সংগ্রহ করা খবর নিয়ে শিশুদের জন্য বিশেষায়িত ওয়েবসাইট যাত্রা শুরু হয় গত বছর ৩১ মার্চ। হ্যালোর জন্য সংবাদ সংগ্রহ থেকে পরিবেশন পর্যন্ত সব কাজেই যুক্ত রয়েছে শিশু ও কিশোর সাংবাদিকরা।
শিশু সাংবাদিকতায় বিশ্বের প্রথম বাংলা সাইট ‘হ্যালো’। বর্তমানে পাঁচ হাজারেরও বেশি শিশু-কিশোর হ্যালোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
চট্টগ্রামে শিশু উৎসবের আরও খবর