তিনি বক্তব্যে বলেন,"শিশুদের কথা শিশুরা লিখবে। বড়রা শিশুদের কথা লিখতে ভুলে গেলেও শিশুরা তাদের কথা লিখবে শিশু সাংবাদিক হিসেবে।
"এই পেশা মেধাবীদের দখলে থাকতে হবে।"
"সাংবাদিকতা এতোদিন বড়দের দখলে ছিল এখন ছোটদের মাঝে যে উৎফুল্লতা দেখলাম তাতে আমি আশাবাদী একদিন তারাই এই জাতির আলোক ছটা ছড়িয়ে দিবে সারা বিশ্বে।
"নিজেদের অধিকার আদায়ে তাদের লেখনি বড় ভূমিকা রাখবে।"
"পত্রিকার পাতায় প্রায় বড়রা সংবাদ করে গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছে, পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে শরীর দগ্ধ এই সমাজ ব্যবস্থায় তরুণরা ফাটল ধরিয়ে লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরবে তাদের বঞ্চনার কথা। তুলে ধরবে বৈষম্য কথা।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ‘হ্যালো’কে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শিশুদের বিকাশের জন্য সবার আগে পরিবারের সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সন্তানদের প্রতিভার স্ফুটনে সহায়তা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন," বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বরাবরই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সেরা। আর তারাই তৃণমূল পর্যায়ে যে শিশু সাংবাদিক অন্বেষণ করছে তা সত্যিই প্রশংসার ব্যাপার।"
অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ও গ্রামীণফোনের যৌথ আয়োজনে শিশু উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হ্যালোর নাহার মাওলা, রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, স্থানীয় সাংসদ আয়েন উদ্দীন, স্থানীয় দৈনিক সানশাইনের সম্পাদক তসিকুল ইসলাম বকুল, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও জনকণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরো মামুনুর রশিদ, রাজশাহী শহর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামায়াত খান, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক বারী আহম্মেদ চৌধুরী ও জেসমিন আরা শিশু সাংবাদিকদের অভিভাবক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের রাজশাহী প্রতিনিধি বদরুল হাসান লিটন ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এস এম নাদিম মাহমুদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।
এরপর ১১৭ জন শিশু সাংবাদিককে স্মারকপত্র দেয়া হয়।
এর আগে গত ২২ অগস্ট রাজশাহীর নগরীর ১৪টি স্কুলের ১১৭ জন প্রতিযোগী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়। সেখান থেকে ২১ জন শিক্ষার্থী ২৭ ও ২৮ অগস্ট কর্মশালায় অংশ নেয়।