স্কুল খোলাই থাকে না

বছরের বেশির ভাগ সময়ই নানা ছুটির কারণে সরকারি স্কুলগুলো বন্ধ থাকে। এতে ছাত্রছাত্রীরা বাধ্য হয়ে প্রাইভেটে যায় আর কোচিং এ পড়তে ভর্তি হয়।

এ ব্যাপারে কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থীর সাথে কথা হয় হ্যালোর। তারা জানায়, ঈদ, পুজা, গ্রীষ্মের ছুটি, শীতের ছুটিসহ বছরে সরকারি স্কুলে ছুটি থাকে ৮৫ দিন।

জানুযারি মাসে ঠিকমত ক্লাস হয় না কারণ এমাসের প্রায় পুরোটাই কেটে যায় বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজনে। এর পরের দু’মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি আর মার্চ মাসে কোন সরকারি ছুটি না থাকলেও সরকারি স্কুলগুলো বন্ধ থাকে এসএসসি পরীক্ষার কারণে।

কুড়িগ্রাম সদরে সরকারি হাই স্কুল দুটি। আর এই দুটি স্কুলই ব্যবহার করা হয় পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে। এপ্রিল মাসে ক্লাস হলেও মে মাসে শুরু হয় গ্রীষ্মকালীন অবকাশ।

এরপর জুন মাসে স্কুল খুলেই শুরু হয় অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা। জুলাই মাস কাটে রোজার ছুটিতে।

এ অবস্থায় সিলেবাস শেষ করার জন্য শিক্ষার্থীদের ছুটতে হচ্ছে প্রাইভেট টিউটরের কাছে ও কোচিং সেন্টারগুলোতে। যেখানে স্কুলে পাঁচ কিংবা ছয় ঘণ্টা ক্লাস করলেই সবগুলো বিষয় পড়া হয়ে যেতে পারত সেখানে প্রতিটি বিষয়ের জন্য দরকার হচ্ছে আলাদা টিউটর। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছুটতে হচ্ছে একটার পর একটা প্রাইভেটে। নিম্ন মধ্যবিত্ত আর দরিদ্র পরিবারগুলোর সাথে সাথে মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিভাবকদেরও হিমশিম খেতে হচ্ছে সন্তানদের পড়াশোনার অতিরিক্ত খরচ যোগাতে।

এ ব্যাপারে হ্যালোর সাথে কথা হয় একজন অভিভাবকের। তিনি জানান, তার মেয়ে ক্লাস নাইনে পড়ে। প্রতিমাসে মেয়ের প্রাইভেট টিউটরের জন্য খরচ করতে হয় পাঁচ হাজার টাকা।

দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার জন্য সরকারি স্কুলগুলোকে বেঁছে নেয়। কারণ এখানে খরচ কম। আর যারা প্রাইভেটের টাকা দিতে পারেনা তারা তাদের পিছিয়ে থাকতে হয় সব সময়। এমন ধারণা অনেক অভিভাবকেরই।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com