২০১০ সাল থেকে ডা. দুলাল শিকদার এ পূজার আয়োজন করে আসছেন।
তার ছেলে লিটন শিকদার বলেন, ‘প্রথম বছরে দুইশ একটি প্রতিমা দিয়ে শুরু হয়।
‘স্থানীয় লোকজনের উৎসাহে দিনদিন প্রতিমার সংখ্যা বাড়ছে। প্রতি বছর হাকিমপুর গ্রামে দেশের বিভিন্ন স্থানসহ দেশের বাইরের দর্শনার্থীরা পূজা দেখতে আসেন।’
পূজা কমিটি সূত্রে জানা যায়, এ মণ্ডপে এবার ছয়শ ৫১ টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিমা শিল্পী মিলন বাছাড় বলেন, ‘ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের চারযুগের দেবদেবীর নানা কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
‘প্রায় পাঁচ মাস ধরে ১৫ জন শিল্পী কাজ করে চলেছেন। শেষ সময়ে রং তুলির কাজ পুরোদমে চলছে। এখন আমাদের দম ফেলার সময় নেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘শিকদারবাড়ির এমন আয়োজনে আমরা দারুণ খুশি। এ পূজার জন্য আজ আমাদের হাকিমপুর গ্রাম দেশবিদেশে সবার কাছে পরিচিত হয়েছে।
‘আমরা সব ধর্মের মানুষ এই উৎসবে মিলিত হই। উৎসব যাতে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সে জন্যে আমরা সবাই সহযোগিতা করি।’
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
১৯ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপূজা চলবে।
দেবী দূর্গা এবছর নৌকায় চড়ে আসবেন আর যাবেন ঘোড়ায় চড়ে।