সাতক্ষীরায় বিশ্বকর্মা পূজা

নানা আয়োজনে সাতক্ষীরায় বিশ্বকর্মা পালিত হয়েছে। আর এ পূজার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ভাদ্র মাস।
সাতক্ষীরায় বিশ্বকর্মা পূজা

পঞ্জিকা মতে বাংলা ভাদ্র মাসের শেষ দিন এ পূজা পালিত হয়। ভোর থেকেই শুরু হয় দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনা। এক দিনের এই পুজাকে ঘিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ঘরে ঘরে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।

কথা হয় গণেশ সরকার নামের স্থানীয় একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “অস্ত্র ও নির্মাণের দেবতা বিশ্বকর্মা। কল-কারখানা থেকে কারিগরি প্রতিষ্ঠানে আজ বিশ্বকর্মা পূজোর আনন্দ সব জায়গাতেই। একই সঙ্গে পাড়া-মহল্লার মোড়ে মোড়েও চলছে বিশ্বকর্মার আরাধনা।”

হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে, বিশ্বকর্মা ছিলেন দেবশিল্পী। বিষ্ণু পুরাণের মতে প্রভাসের ঔরসে বৃহস্পতির ভগিনীর গর্ভে বিশ্বকর্মার জন্ম হয়। বেদ-এ পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বকর্মা বলা হয়েছে। 

নিত্যানন্দ আমিন নামের আরেক পূজারী বলেন, “বিশ্বকর্মা মূলত সৃষ্টিশক্তির রূপক নাম। সেই অর্থে ইনি পিতা, সর্বজ্ঞ, দেবতাদের নামদাতা। ইনি শিল্পসমূহের প্রকাশক।”

মহাভারতের মতে ইনি শিল্পের শ্রেষ্ঠকর্তা, সর্বপ্রকার কারুকার্য-নির্মাতা। স্বর্গ ও লঙ্কাপুরী তারই নির্মাণ।   

পুরোহিত শংকর চক্রবর্তী বলেন, “ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে সাতক্ষীরায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা পূজা এলেই মনে হয় দরজায় কড়া নাড়ছে দুর্গোৎসব। শুরু হয়ে যায় দুর্গা পূজার আনন্দ।”

মূলত স্বর্ণকার, কর্মকার, কারুশিল্পী, স্থাপত্যশিল্পী, মৃৎশিল্পীরা নিজের কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন।

এ সময় বিশেষ খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা হয় এবং পূজা শেষে ঘুড়ি ওড়ানো হয়। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে ঘুড়ি উৎসবে ভাটা পড়ে।

 

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com