অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের অনেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলেই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা।
অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা

বেশ কিছু স্কুল ঘুরে দেখা যায়, কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগারের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে সাবান, পানি ও স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা নেই। এসময় হ্যালোর সাথে কথা হয় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের।

জামুর্কী এনএসএজি হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সোনালী আক্তার বলে, “আমাদের স্কুলে মেয়েদের জন্য মাত্র একটা টয়লেট। সেটার অবস্থাও খারাপ।”

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুরজাহান বলে, “টয়লেট ব্যবহারের জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।”

শৌচাগারটি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না বলেও সে অভিযোগ করে।

স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তার বলেন, “শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে সব সময় সাবান রাখা আর টয়লেট পরিষ্কার রাখা সম্ভব। ওদের সচেতন হতে হবে।”

সাটিয়াচড়া শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী আশা আক্তার অভিযোগ করে, তাদের শৌচাগারে সাবান তো দূরের কথা মাঝে মাঝে পানিই থাকে না।

নোংরা টয়লেট ব্যবহার খুব অরুচিকর বলে মন্তব্য করে ও।

এই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ফাতেমা হক বলে, “জরুরি প্রয়োজনে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখা উচিত। কিন্তু আমাদের টয়লেটে তো পানিই থাকে না।”

কুর্ণী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী জানায়, প্রত্যেক মাসের পিরিয়ডের বিশেষ কয়েক দিন প্রায়ই স্কুলে আসে না। স্কুলে এসে যদি পিরিয়ড শুরু হয়, শিক্ষকদের কাছে মিথ্যা কথা বলে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যায়।

মির্জাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমি স্কুলে গেলে টয়লেট পরিদর্শন করে দেখেছি, বেশির ভাগ স্কুলে নোংরা টয়লেট ব্যবহার হচ্ছে।

“শিক্ষার্থীদের কথা বাদ দিলাম। শিক্ষকরাই অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা নিজেরা সচেতন না হলে করার কিছুই নাই।”

আর জরুরি সময়ের জন্য হলেও, ‍স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা অসম্ভব।”

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপদ স্যানিটেশন ইন্সপেক্টর ইসরাত জাহান হ্যালোকে বলেন, “অস্বাস্থ্যকর টয়লেট ব্যবহার করার ফলে ডায়রিয়া, আমাশয় ও কলেরার মতো জীবাণু দেহে প্রবেশ করতে পারে ও অন্য ছোঁয়াচে রোগেও আক্রান্ত হতে পারে।”

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com