একজন মেধাবী ছাত্র তানজিন। সে খুলনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বরাবর মেধা তালিকায় তার নাম থাকে সবার ওপরে। পঞ্চম শ্রেণিতে জিপিএ পাঁচ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে ও।
তানজিন বলে, ‘বাবার মৃত্যুর পর লেখাপড়া করা খুব কষ্ট করে চলছে। প্রথমে পেন্সিল দিয়ে লিখি, রবার দিয়ে মুছে পরে কলম দিয়ে লিখি।’
বাড়িতে ওর কোনো শিক্ষক নাই। ক্লাসে পড়া বুঝতে না পারলে, স্কুলের শিক্ষকের বাড়ি গিয়ে মাঝে মাঝে সাহায্য নেয় বলে জানায় ও।
তার মা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। সে নিজের চেষ্টায় ভালো রেজাল্ট করেছে। তবে তার বাবা বেঁচে থাকলে ছেলে আরও ভালো করতে পারত। কতদিন এভাবে ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে নিতে পারব বুঝতে পারছি না।'
স্বামীর মৃত্যর পর তানজিনের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। প্রশাসনিক জটিলতায় পেনশনের টাকা এখনও হাতে পাননি।
চিকিৎসার পর অল্প কিছু টাকা রেখে যেতে পেরেছেন। সেইটুকু পুঁজি। তার সাথে আত্মীয় স্বজনের সহায়তায় খুঁড়িয়ে চলছে তাদের সংসার, জানান ইয়াসমিন।
ওর বাবা আব্দুল হক মারা গেছেন তিন বছর আগে, ২০১৪ সালে। পেশায় ছিলেন পোস্ট মাস্টার। ২০১০ সালে স্ট্রোক করে তারপর চার বছর ভুগে মারা যান তিনি।
পরিবারে উপার্জনের কেউ না থাকায় তানজিন আর তার মা ইয়াসমিন আক্তার বিপদে পড়েন।