রোববার নিবন্ধনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়।
১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে ২০১৭ পর্যন্ত এই বিদ্যাপিঠে পড়ালেখা করা প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী এই মিলন মেলায় অংশ নেন।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতে শিক্ষার্থীরা সাদা রঙের টিশার্ট, ক্যাপ পরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীত ও শপথ বাক্য পাঠ করেন।
পরে তারা সাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।
বিকেলে বন্ধুসভা, ক্রীড়ানুষ্ঠান আর সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাটক মঞ্চস্থ হয়।
এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, বিকালে স্মৃতিচারণ এবং সন্ধ্যায় আতশবাজী ও ওপেন এয়ার কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
এলআরবি সঙ্গীত ব্যান্ড ছাড়াও অন্য শিল্পীরাও অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন।
স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রাক্তন ছাত্র বর্তমানে খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের সার্জন ডা. এস এম শাহনেওয়াজ বলেন, “১৯৯৪ সালে এই বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ছিলেন একেকজন আদর্শ ছাত্র গড়ার কারিগর। তাদের জন্য আজ আমি চিকিৎসক হতে পেরেছি। আজ এসে পুরনো অনেক সহপাঠির সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। আমরা খুব মজা করছি।”
৯৭’ ব্যাচের প্রাক্তন ছাত্র ও বাগেরহাট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রদীপ কুমার বকসী বলেন, “আমরা চার ভাই বিদ্যালয়ের ছাত্র। আজ এক সাথে সবাই স্কুলে এসেছি। অনেক স্মৃতিজড়িত, ভালোলাগার মূহুর্ত কেটেছে এই বিদ্যাপীঠে।”
বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আকরাম হোসেন বলেন, “পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে মাঝে একটি বিশেষ র্যাফেল ড্র্র এর আয়োজন করা হয়েছে। যেখান থেকে সংগৃহীত অর্থের একটি অংশ দেশের উত্তর বঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকার অসহায় মানুষের সাহয্যের জন্য দেওয়া হবে।”