ছাত্রজীবনেই ১০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ১৯৯৭ সালে শুরু করেন শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন এলাকার ৫২ জন অন্ধ শারীরিক ও মানসিক শিশু লেখাপড়া করছে বিদ্যালয়টিতে।
সরেজমিনে স্কুলটির কয়েক জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইতি। ও জন্ম থেকে অন্ধ। তবে ও জানায়, এখানে লেখাপড়া করতে তার কোনো কষ্ট হয় না। বরং আনন্দের সাথে লেখাপড়া করে ও।
ইতির মতো অন্যরাও আনন্দে, হেসে খেলে লেখাপড়া করছে সদর উপজেলার সাজিউড়া গ্রামের হাবিবুরের গড়া অটিজম ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টিতে।
হাবিবুর রহমান জানান, তিনি নামমাত্র খরচে শিশুদের পড়ার ব্যবস্থা করেছেন এখানে।তিনি বলেন, "টাকা পয়সা তেমন না পেলেও এই শিশুদের পড়িয়ে আনন্দ পান তিনি। এই শিশুদের শিক্ষায় শিক্ষিত করে স্বাবলম্বী করাই আমার উদ্দেশ্য।"
কথা হলে অভিভাবকদের একজন বলেন, "আমার মেয়েটি এখানে পড়ে। অনেক শিশুদের সঙ্গে মেশে, খেলাধুলা করে। ও খুব খুশি থাকে।"
জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা বিভাগ ও ব্যক্তি দানে চলা এই বিদ্যালয়টিকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির শিক্ষকসহ এলাকাবাসী।