শনিবার সমাপনী দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিতর্ক মানুষকে যৌক্তিক করে গড়ে তোলে। তাই আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।’
তিনি আরওওবলেন, ‘সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলে, যার ফলে তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে সরে যায়।
বৃহস্পতিববার এর উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আখতার ইকবাল।
অংশগ্রহণকারী প্রেসিডেন্সি মডেল কলেজের এক শিক্ষার্থী জামিল এর মতে, এই ধরনের সহশিক্ষা কার্যক্রম তাদেরকে অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে এবং মেধা বিকাশে সাহায্য করে।
এই অনুষ্ঠানে ঘুরতে আসা আসাদুজ্জামান রিফাত নামে এক শিক্ষার্থী হ্যালোর সাথে আলাপকালে বলেন, ‘আমি এই প্রথমবার এই ধরনের অনুষ্ঠানে এসেছি। বিতর্ক দেখে বইয়ের বাইরের অনেক কিছু জেনেছি। তাই আমিও এখন থেকে এই সব প্রতিযোগিতাগুলোতে আংশ নিতে চাই।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে কলেজের ডিবেট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট তানভীর হোসেন শান্ত জানায়, বরাবরের মত এবারের বিতর্ক প্রতিযোগিতাতেও তারা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক বেশি আগ্রহ পাচ্ছেন। তারা খুবই গর্বিত এরকম একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পেরে। ভবিষ্যতে আরও ভালো প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে চান।
প্রতিযোগিতায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল, প্রেসিডেন্সি মডেল কলেজ, এস এম হারমেইন মেইনার কলেজ, ভিকারুন নেসা নূন কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ, নটরডেম কলেজ, বি এ এফ শাহীন কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট, সেন্ট যোসেফ, সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ, মুন্সি আব্দুল রউফ পাবলিক কলেজসহ মোট ২৬টি কলেজ।