সম্প্রতি বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, পিলারের ঢালাই খসে ভেতরের রড বেরিয়ে পড়েছে। খসে পড়েছে অনেক জায়গা।
বিদ্যালয়টির প্রধানশিক্ষক পিয়ারা বেগম জানান, ২০১৪ সালে শিক্ষা বিভাগ ভবনটিতে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
তিনি বলেন, “এজন্য বারান্দায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে বাচ্চারা মনোযোগ আটকে রাখতে পারে না। রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকে। ক্লাসে ব্ল্যাকবোর্ড ব্যবহার ওরাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।”
শিক্ষার্থীদের একজন বলে, “বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ চমকালে ভয় লাগে।”
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭০ সালে আধাপাকা টিনসেড ঘরে বিদ্যালটির কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রী দুইশ ৬৯ জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনও সংস্কার না হওয়ায় টিনসেড ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে তিন কক্ষের একটি নতুন ভবন করে এক কক্ষে শিক্ষকদের অফিস ও বাকি দুই কক্ষে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়। তবে ভবন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবার শুরু হয় শ্রেণিকক্ষ সংকট।
জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহিনুল ইসলাম মজুমদার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ বিদ্যায়ল ভবনগুলোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অচিরেই ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যায়য়ে নতুন ভবন ও জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবন মেরামতের পরিকল্পনা রয়েছে।