গরম ও লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ
সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের দিন মুজুররা। সকাল থেকেই তাপদাহ শুরু হওয়ায় মাঠে, ঘাটে, ফসলের ক্ষেত কিংবা ভ্যান ও রিক্সা চালাতে গিয়ে প্রাণান্তকর কষ্ট হচ্ছে শ্রমীজীবী মানুষদের।
এ ব্যাপারে হ্যালোর সাথে কথা হয় ঠাকুরগাঁও হাজীপাড়ার বাসিন্দা হাসিব রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘এসময় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলে এই দু:সহ গরমে ভোগান্তি একটু কম হতো। কখন বিদ্যুৎ আসে আর যায় সে হিসাব রাখাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র খুরশিদ জামান কাকন বলে, ‘গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিন রাত সমানতালে লোডশেডিং চলছে। পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে অনেক। এছাড়া সন্ধার পর বিদ্যুৎ না থাকাটা বর্তমানে রুটিনে পরিনত হয়েছে। বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে আর আসার খবর থাকে না।’
ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলমগীর মাহফুজুর রহমান জানান, গরমের সময় বিদ্যুতের চাপ বেশি থাকায় লোডশেডিং ঘন ঘন হয়। চাহিদার তুলনায় জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেক কম।
ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই পান করছেন ঠাণ্ডা পানি ও পানীয়। সেইসাথে খাচ্ছেন শসা। প্রচণ্ড গরমে তরমুজ, আনারস, ডাবের পানি যে যার সাধ্যমত ক্রয় করে খাচ্ছেন শরীরকে একটু শীতল করতে।