বন্ধ গণগ্রন্থাগার, পাঠকদের ক্ষোভ

পাঠকের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার গণগ্রন্থাগারটি পাঁচ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা।
বন্ধ গণগ্রন্থাগার, পাঠকদের ক্ষোভ

তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অবহেলায় গ্রন্থাগারটির সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে,  পোকা-মাকড়ের আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান বই।

এই বিষয়ে, হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় মীম নামের এক স্কুল শিক্ষার্থীর।

ও বলে, “গ্রন্থগারটি খুলে না দেওয়ায় আমরা বই পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমার গল্প-উপন্যাস পড়তে খুব ভালো লাগে। অন্য কোনো গণগ্রন্থাগারও নেই যেখানে গিয়ে বই পড়ব।  আমাদের সময় ব্যয় হচ্ছে গল্প করে, আড্ডা দিয়ে, ফেইসবুকিং করে।”

যুবাইর নামে একজন বলে, “ইচ্ছা থাকার পরেও গ্রন্থগারে বই পড়তে পারছি না। কেন খুলে দেওয়া হচ্ছে না তা জানতে চাই। আশা করি কর্তৃপক্ষ গ্রন্থাগারটি খুলে আমাদের মতো ছাত্রদের পড়ার সুযোগ করে দেবে।”

আগ্রহের শেষ নেই তরুণদের মাঝেও। তারাও চান বই পড়ে সময় কাটাতে। এ নিয়ে হ্যালোর সঙ্গে কথা বলেন আনোওয়ার আব্দুল্লাহ নামে এক তরুণ।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমরা তরুণরা অনেক চেষ্টা করেছি গ্রন্থাগারটি খোলার জন্য। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে আমাদের প্রচেষ্টা। কর্তৃপক্ষ তা আমলেই নেয়নি।”

“সরকার থেকে অনেক টাকা আসে। সেগুলো আত্মসাৎ হয়ে যায়। প্রশাসনের অবহেলার কারণে হারিয়ে নষ্ট হয় শত শত বই,” অভিযোগ তার।

তবে বিষয়টিকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করেছেন বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জসিম উদ্দিন।

তিনি হ্যালোকে বলেন, “গ্রন্থাগারটি বন্ধ তা বলা যাবে না। পাঠক না আসায় আমরা মাঝে মধ্যে তালা খুলি। তাছাড়া আমাদের কোনো লাইব্রেরিয়ান নেই যে প্রতিদিন লাইব্রেরইটি খুলবে। বর্তমানে সেটি ব্যবহার করছে উপজেলা মডেল প্রেস ক্লাব এবং নজরুল একাডেমীর সদস্যরা।”

গণগ্রন্থাগার কেন প্রেসক্লাব ও নজরুল একাডেমী ব্যবহার করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রেসক্লাবের লোকেরা অনেক আগে থেকেই লাইব্রেরি ব্যবহার করে আসছে।”

টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “এখনো কিছু বলতে পারব না। কারণ আমি নতুন নিয়োগ হয়েছি। লাইব্রেরিকে সচল করতে ইতোমধ্যে আমি পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি সফল হব এবং টাকার বিষয়টা আমি খতিয়ে দেখব।”

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com