শহরের পুরনো বাসস্ট্যান্ড, বঙ্গবন্ধু সড়ক, সরকারি কলেজ, রেলস্টেশন সড়ক, জেলা পরিষদের সামনেসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের পাশের গাছে গাছে ঝুলছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা সম্বলিত ব্যানার। এরমধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসালয়ের বিজ্ঞাপন।
এসব বন্ধে ২০১২ সালে জাতীয় সংসদে “দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করা হয়। আইনে উল্লেখ্য করা হয়েছে গাছ( বৃক্ষ) কোনো প্রচারণার কাজে ব্যাবহার করা যাবে না।
ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক আবদুল গফফার হ্যালোকে বলেন, “গাছের উপর মানুষের এ অত্যাচার থামছে না। দ্রুত এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।”
সম্প্রতি গাছে ব্যানার টানানোর সময় হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় আবুল কাসেম নামের এক তরুণের।
তিনি বলেন, “কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন লাগাই। যাতে সবার চোখে পড়ে তাই গাছে লাগাচ্ছি। কোচিং কর্তৃপক্ষের নির্দেশ।”
সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান সাবু হ্যালোকে বলেন, “গাছ আমাদের জীবন বাঁচিয়ে রেখেছে। অথচ এই গাছ নষ্ট করছি আমরা।”
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র মির্জা ফয়সাল আমিনের সাথে কথা হয় হ্যালোর। তিনি বলেন, “অনুমতি ছাড়া গাছে গাছে ঝোলানো এসব সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এ বিষয়ে প্রদক্ষেপ নেব।”