স্কুলটির নাম 'অ বর্ণ' স্কুল। পড়া থেকে ঝরে পড়াদের এই স্কুলে এনে শিক্ষার ব্যবস্থা করে দেয় এই তরুণরা।
আশিক নামের তরুণ হ্যালোকে জানান, এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার প্রতি খুব আগ্রহী। তাদের সুন্দর হাসিই আমাদের প্রেরণা।
আঁখি আকতার বলেন, ‘আমরা সবাই বিনা পারিশ্রমিকে পাঠদান করে থাকি।’
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রান্ত বলে, ‘আমার মা আমায় প্রথমে কামে দিছিলো। কিন্তু আমি কাম করতে চাইতাম না। আমার ইচ্ছা ছিল আমি পড়ালেখা করমু।
‘স্যাররা আমাদের পড়ালেখা শেখায়, খুব আদরও করে।
আরেক শিক্ষার্থী মিম জানায় সে পড়ালেখা করতে চায়। অনেক বড় হতে চায়। ও ডাক্তার হতে চায়।
ফাতেমা বেগম নামে এক অভিভাবক বলেন, ‘প্রথমে আমি আমার পোলাডারে স্কুলে যাইতে দেই নাই। ও পড়তি গেলে কামাই করবি কেডা?
‘কিন্তু এখন আমি খুশি। আমার পোলা ওই স্কুল থিইকা যা শিখে আসে তা রাত্তিরে শুইয়া আমারেও শিখায়।’
বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদক মোহাম্মদ রায়হান হ্যালোকে বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের জন্মগত অধিকার কিন্তু এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই অশিক্ষিত।
‘আমরা এই স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাতা কলমসহ যাবতীয় শিক্ষা সামগ্রী বিনা মূল্যে দিয়ে থাকি।
‘এছাড়া কোন শিক্ষার্থী যেন অনুপস্থিত না থাকে সে জন্য আমরা টিফিনের ব্যবস্থা করে থাকি।’
এ ছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার বিনোদনের জন্য বিশেষ ক্লাস নেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।