জেলার ২০টি কারখানায় এসব আইসক্রিম বানানো হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এই কারখানাগুলোতে তিন থেকে দশ টাকা মূল্যের দুধ কুলফি, দই কুলফি, ঝাল টক কুলফি, অরেঞ্জ কুলফি, লিচু কুলফি তৈরি হয়। সস্তা দামের এই আইসক্রিম তৈরিতে নিম্নমানের ফুড কালার ও অত্যন্ত ক্ষতিকর উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
জেলার হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন বলেন, “আমার ছোট ছেলেটি এবার চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। কদিন ধরেই অসুস্থ। জ্বর, পেট ব্যথা। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে জানলাম বাইরের খোলা খাবার, আইসক্রিম খেয়ে ফুড পয়জনিং হয়েছে।”
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইফতি বলে, “গরমের সময় আইসক্রিম অনেক ভালো লাগে। স্কুল ছুটির পড়ে গেটের সামনে আইসক্রিম দেখলে খাই।”
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও নিউ কুলফি আইসক্রিম কারখানার মালিক হাবিবের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “কেউ কেউ ওসব উপকরণ বা ফুড কালার ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু আমি করি না।”
ঠাকুরগাঁও শিশু ডাক্তার শাজাহান নেওয়াজ হ্যালোকে জানান, আইসক্রিম শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক। এখন যেসব কম দামি আইসক্রিম পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো বাচ্চাদের খাওয়ার উপযোগী না। এগুলো খেলে পেটের ব্যথা, ডায়রিয়া হওয়া স্বাভাবিক বিষয়।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল হ্যালোকে জানান, আইসক্রিমে ক্ষতিকর উপকরণ মেশানোর অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। খুব শিগগির এইগুলো বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।