জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সিদ্দিক অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর অভাবের কারণে তার পড়া বন্ধ হয়ে যায় বলে হ্যালোকে জানায় ও।
সিদ্দিক বলে, ‘এরপর একটি মটরসাইকেল সার্ভিসিং দোকানে মেকানিকের কাজ শিখতে শুরু করি।
‘আয় করতে শিখে গেলে পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার সিভিল বিভাগে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই।
‘টাকার কিছু বাবাকে দিতাম। বাকি টাকা দিয়ে পড়ার খরচ চালাতাম।
‘সারাদিন কাজ করে রাতে পড়তাম। শেষ পর্যন্ত এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বসেছিলাম। জিপিএ চার দশমিক ৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি।’
সিদ্দিক আরও জানায়, দুই বছর ধরে নিজের উপার্জিত টাকায় লেখাপড়া চালিয়ে আসছে।
দিনে কাজ করে পড়তে পারবে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে না পারলে আবার তাকে পড়া ছেড়ে দিতে। কিন্তু সে পড়া চালিয়ে যেতে চায়।