চাষীরা ওষুধ দিয়েও এ রোগের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। ফলে চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো আবাদে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
ব্লাস্ট রোগ সম্পর্কে ন্যূনতম কোনো ধারণা না থাকায় এ রোগের আক্রমণে চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় চাষী রুহুল আমিন হ্যালোকে জানান, মাসখানেক আগে ধান গাছের পুষ্ট চেহারা দেখে ভেবেছিলেন এবার ফলন ভালো হবে। দুঃখ কিছুটা কমবে।
অপর চাষী কুদ্দুস মিয়া হ্যালোকে জানান, ইরি-বোরো ফসলের ওপর নির্ভর করে তিনি পরিবারের সারা বছরের ভাত কাপড়ের সংস্থান করেন। এখন ধানের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার মাথার উপর বাজ পড়ার মতো অবস্থা।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোমায়রা মণ্ডল মুঠোফোনে জানান, কৃষকদের মাঝে এ সম্পর্কে আগাম সতর্ক বার্তা পৌঁছে দেয়া হলেও অনেকেই তা এড়িয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, ‘মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার করার ফলে ব্লাস্ট রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।’
ধানের শীষের গোড়ায় ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ হয়। ফলে শীষের গোড়া পচে যায় এবং ভেঙে পড়ে। আক্রান্ত ধান গাছের শীষে সাদা ধান দেখা যায়, কিন্তু শীষের ভেতর চালের দানা থাকে না।