বুধবার যুগীর ঘোল এলাকার হোসাইনিয়া প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা জানান।
রাতেই ওই মাদ্রাসার খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. শাহাবুদিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলে ভোলা থানার ওসি নিশ্চিত করেন।
নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ফজলে হোসেনের ছেলে ও ভোলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করেন।
অভিযোগে বলা হয়, মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পর গোসল করাতে গিয়ে মা শিশুটির শরীরে নখের আঁচড় দেখতে পান৷ পরে জিজ্ঞেস করলে শিশুটি মাকে ঘটনাটি জানায়। এরপর পরিবার থেকে বিষয়টি মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে জানানো হয়।
শাহাবুদ্দীন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পড়া না পারায় মারধর করায় ছাত্রীটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন হয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে মারধর শুরু করলে খবর পেয়ে পুলিশ ও ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মোজাহিদুল ইসলাম ওই মাদ্রাসায় যান। পরে রাত ১০টার সময় শাহাবুদ্দিকে গ্রেপ্তার করে ভোলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
হোসাইনিয়া প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন বলেও ওসি জানান।