অভিযোগ পাওয়া গেছে, তিনি চারটি পরিবারের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুর বাবা।
তিনি বলেন, “আমি প্রতিবন্ধী মেয়ে নিয়ে বিপাকে পড়েছি। কোনো ভাবে সংসার চালাই। মেয়েরে ওষুধ কিনা খাওয়াইতে পারি না।
“ইউনিয়নে প্রতিবন্ধীর ভাতা কার্ড এসেছে শুনে আমি মেম্বারকে অনুরোধ করি একটা কার্ডের জন্য। উনি আমার কাছে এজন্য তিন হাজার টাকা চেয়েছেন।”
একই গ্রামের সামাই ইসলাম বলেন, “আমি অনেক আগে মেম্বারকে বলে রেখেছিলাম একটা কার্ডের জন্য। একদিন দেখা হলে তিনি বলেন তিন হাজার টাকা দিলে কার্ড করে দিবে।
“আমি নিরুপায় হয়ে বাই সাইকেলটি বিক্রি করে ইউপি সদস্যকে তিন হাজার টাকা দিয়েছি।”
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মনসুর আলীর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।
ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত কুমারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি বা কেউ আমাকে কিছু বলেনি। যদি কেউ অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুহুল আমিন বলেন, “ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন এসেছি। এ ব্যাপারে কিছু জানি না। তদন্ত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।”