শুক্রবার বিকালে আকাশে রঙ বেরঙের ঘুড়ি ও দর্শনার্থীদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে শিবালয় আরিচা ঘাটের যমুনা নদীর পাড়।
রঙ বেরঙের ঘুড়িগুলোর ছিল বাহারি সব নাম। কৌড়া, চিলা, ডোল, সাপ, মানুষ, ময়ূর, পতেঙ্গা ও উড়োজাহাজ ঘুড়িসহ নানা নামের ঘুড়ি উড়তে দেখা যায় যমুনা পাড়ের আকাশে।
স্থানীয় সংগঠন ‘শতদল’ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবে জেলার বিভিন্ন জায়গার প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতাও চলে।
কথা হলে শতদল সংগঠনের সদস্য সৈকত মাহমুদ খান বলেন ‘ঘুড়ি উৎসব গ্রাম বাংলার একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। হারিয়ে যাওয়া এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই আমাদের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।’
গত আট বছর ধরে চলে আসা এ উৎসব আয়োজনের ধারাকে অব্যাহত রাখার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বর্ষ বরণের দিন এরকম ভিন্ন আয়োজন দেখতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। রঙ বেরঙের এ উৎসবে মেতেছিল ছোট বড় সব বয়সের মানুষ।
ঘুড়ি উৎসবকে উপভোগ করতে সপরিবারে এসেছিলেন সৈয়দ এনায়েত করিম। কথা হলে তিনি বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ব্যতিক্রমধর্মী এ ঘুড়ি মেলার আয়োজন দেখতে পরিবার নিয়ে প্রতি বছরই আসি, এবারও এসেছি। চিন্তা করছি সামনের বছর নিজেও একটা ঘুড়ি বানিয়ে আনব।’
গত বছরের তুলনায় এবছর ভিড় অনেক বেশি এবং ঘুড়ির সংখ্যাও বেড়েছে বলে জানান তিনি।
বাবা-মার সাথে ঘুড়ি ওড়ানো দেখতে এসেছে শিশু চৈতি। ও বলে, ‘মেলায় এসে ঘুড়ি কিনে উড়িয়েছি, আমার অনেক ভাল লাগছে।’
মেলায় একসাথে এতগুলো ঘুড়ি দেখে খুব খুশি হয়েছে বলে জানায় ও।
উৎসব শেষে ঘুড়ি উড়ানোর প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।