সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার প্রায় সব ইট উঠে গেছে। ইটের রাস্তা ভেঙে তৈরি হওয়া বড় বড় গর্ত চলাচলকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ মাঝে মাঝেই এই রাস্তায় কেউ না কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
পাল্লা বহুমুখী স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির ছাত্র মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ হ্যালোকে বলে, “আমার বাড়ি থেকে স্কুল প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। এই তিন কিলোমিটার পথ আমাকে হেঁটে যেতে হয়, ভাঙা রাস্তা বলে ভ্যান পাওয়া যায় না।”
হাজী আব্দুর রহমান আব্দুর করিম ডিগ্রী কলেজের ছাত্র ইমরান হোসেন খুব তাড়াতাড়ি রাস্তাটি মেরামতের অনুরোধ করেন।
এ রাস্তার নিয়মিত ভ্যান চালক ইমরান মোল্লা হ্যালোকে জানান, এই ভাঙা রাস্তায় প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয় তাদের। এতে ভ্যানেরও ক্ষতি হয়।
পথচারী মনিরুল মোল্লা বলেন, “আমি খুব অসুস্থ । তবুও পায়ে হেঁটেই বাড়ি যাচ্ছি। কোনো ভ্যান নেই রাস্তায়। বেশি টাকা দিতে চাইলেও কেউ যেতে চায় না সচরাচর।”
এই বিষয়ে বাবুখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “রাস্তাটা ভাঙা। এরপরও আমরা কিছু করতে পারছি না। এটা করতে হলে অনেক বড় বাজেট লাগবে।”
তবে এলজিইডি চাইলেই রাস্তা ঠিক করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি রাস্তার দুপাশে মাটি ফেলে দিতে পারি। এই রাস্তার কথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বলব।”
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম মুঠোফোনে হ্যালোকে বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে যাতে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।”