এর পর থেকে প্রতিবছরই জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছরও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বিএফডিসি’র তত্ত্বাবধানে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। কিন্তু শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়ে তেমন উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নিয়ে হ্যালো কথা বলে বিদেশি চলচ্চিত্র দেখতে আসা শিশুকিশোর ও তাদের অভিভাবকের সাথে।
অভিভাবকরা জানান, দেশে শিশুতোষ ছবি তৈরি হয় না বললেই চলে। আর অন্য চলচ্চিত্রগুলো শিশুদের বয়স ও বিকাশের কথা ভেবে নির্মাণ করা হয় না। আর তাই বাচ্চদের নিয়ে বিদেশি চলচ্চিত্র দেখতে আসেন।
কিশোররা জানায়, বাংলা ছবির তুলনায় বিদেশি ছবি অনেক ভালো। তাই তারা বিদেশি ছবি দেখতে আসে।
সমাজের বিশিষ্ট নাগরিকরা মনে করেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র দেখে শিশুরা কিছুই শিখছে না বরং তারা আরো ক্ষতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর তার জন্য শিশুকিশোরা বাধ্য হয়ে বিদেশি চলচ্চিত্রের দিকে ঝুঁকেছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে বেশির ভাগ চলচ্চিত্র তৈরি করা হয় প্রেম কাহিনীর রূপকথা দিয়ে। যা শিশুকিশোরদের উপযোগী নয়। পাশাপাশি নানান প্রেক্ষাগৃহে বাড়ছে বিদেশি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শন। যার কারণে বিরাট ক্ষতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বলেও এরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
তাদের মতে, ছোটরা বিদেশি চলচ্চিত্র দেখতে ঝুঁকছে, নানান অপসংস্কৃতি তাদের মনে ছাপ ফেলছে, প্রভাবিত করছে, যা সব সময় গ্রহণীয় নয়। শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করর্পোশন অথচ প্রতি মাসে অন্তত একটি বিদেশি শিশুতোষ চলচ্চিত্র মুক্তি পাচ্ছে।