রোববার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হ্যালোর সাথে এ ব্যাপারে কথা হয় তাদের।
তৃতীয় শ্রেণির রাজিব হ্যালোকে বলে, ‘আমাদের ক্লাসরুম ভেঙে পড়তে পারে তাই নিচে বসে ক্লাস করছি। বসে লিখতে কষ্ট হয়।'
এরকম ভয়ে ভয়ে ক্লাস করতে আর স্কুলে আসতে ভাল লাগে না বলে জানায় রাজিব।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী তায়েফ আহমেদ বলে, ‘খারাপ আবহাওয়ার সময় স্কুলে আসতে আম্মু-আব্বু বারণ করেন। আমারও ভয় লাগে। হঠাৎ যদি স্কুল ভেঙে পড়ে!’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আর্ণি দে দুঃখের সাথে বলেন, ‘আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন ভবনের জন্য ২০১৬ সালের ভূমিকম্পে ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকেই বেশ কয়েকবার আবেদন করেছি। এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাইনি।
‘ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে খুব ঝুঁকির মধ্যে আছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, মেরামত বা নতুন ভবন করা না হলে এই বিপদের মধ্যে তার সন্তানকে পাঠাবেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান হ্যালোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি অবগত আছি। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ ও ২০১৭-র ভুমিকম্পে বিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি কক্ষের দেওয়াল ও ছাদে ফাটল, ধসে পড়েছে অনেক জায়গা।
বিপদ হলে আত্মরক্ষার জন্য সপ্তাহে একদিন করে শিক্ষার্থীদের বিশেষ মহড়া দেন শিক্ষকরা।