ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখে কলেজ ছুটির সময় পেছন থেকে একটি বাইক এই শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেয়। বিপরীত দিক থেকে বালুবাহী একটি ট্রাক আসায় বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শী জানান।
ফাহিম তালুকদার নামে এক শিক্ষার্থী বলে, ‘কলেজে সবসময় ঝুঁকিতে থাকি। কখন দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না। আর গাড়ির শব্দে স্যারের লেকচার শুনতেও অসুবিধা হয়।’
ইমরান নামে আরেক শিক্ষার্থী, রিক্সা ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ না করলে আরও বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে।
সে জানায়, এসব গাড়ি চলাচলের জন্য পশ্চিম নয়াপাড়া থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত বিকল্প রাস্তা থাকলেও সে রাস্তা বাদ দিয়ে অনেক গাড়ি কলেজের ভেতরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে।
এক গাড়ী চালক বলেন, ‘এইদিক দিয়ে গেলে সময় কম লাগে তাই এইখান দিয়া যাই।’ তবে তিনি কলেজের চত্বরে ঢুকলে গাড়ির গতি কমিয়ে দেন বলে দাবি করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী হ্যালোকে বলেন, ‘২৭ তারিখে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার পরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
কলেজ ক্যাম্পাসে আর কোন দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
তবে যানবাহন চলাচল নিষেধ করলেও এখনও তা মানা হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী জানান, নিষেধ অমান্য করে এখনও এই রাস্তায় অনেক গাড়ি ঢুকে যাচ্ছে।