খিলগাঁওয়ের শাহজাহানপুর ও তিলপাপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ডাস্টবিন উপরে ফেলা হয়েছে। আবার কোথাও কাঠামো থাকলেও উধাও বিন।
তিলপাপাড়ায় একটি উল্টানো ডাস্টবিন দেখে পাশের আসবাবপত্রের দোকানের এক কর্মচারীর সঙ্গে কথা হয় হ্যালোর।
তার অভিযোগ, আশেপাশের বাসা-বাড়ির ময়লাও ফেলা হয় ডাস্টবিনে। সেই ময়লাগুলো থেকে একসময় দুর্গন্ধ আসে। এ দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে উল্টে রাখা হয়েছে।
একই সড়কে আরও কিছু উল্টানো ডাস্টবিন দেখা যায়। একটি বাড়ির পাশেও চোখে পড়ে উল্টানো ডাস্টবিন। বাড়ির কেয়ারটেকারের স্ত্রীর মুখেও একই অভিযোগ।
তিনি বলেন, “প্রতিদিন ঘর-বাড়ির ময়লা নেওয়ার জন্য লোক আসলেও কিছু বাসা থেকে এ ডাস্টবিনে ময়লা ফেলা হয়। বারণ করলে শোনে না। তাই উল্টে রাখা হয়েছে।”
খিলগাঁওয়ের কাঁচাবাজার ঘুরেও দেখা যায় একই চিত্র।
এক সবজি বিক্রেতা বলেন, “আমরা জানিনা এইডা কে উল্টাইয়া রাখছে। তবে কাজটা ঠিক হয় নাই। মানুষ ময়লা ফেলতে পারত। আমরাও কিছু ময়লা ফেলতে পারতাম। উল্টায়া রাখাতে এখন জায়গা নোংরা হচ্ছে।”
এলাকার কাউন্সিলর ওয়াহিদুল হাসান মিল্টন বলেন, “এটা আসলে ডাস্টবিন নয়। এটা ওয়েস্টবিন। আমাদের দেশে ওয়েস্টবিন বসানোর বিষয়টা একদমই নতুন। এ কারণে এমনটা হচ্ছে। যেগুলো ভাঙা কিংবা চুরি হয়ে গিয়েছে সেগুলোতে শীঘ্রই নতুন করে ওয়েস্টবিন বসানো হবে।”
বাসা-বাড়ির ময়লা এখানে না ফেলার অনুরোধ করে তিনি বলেন, “সাধারণত আমাদের বাসা-বাড়ির ময়লাগুলো পচনশীল। এগুলোর জন্য আমাদের সিটি কর্পোরেশনের আলাদা লোক রয়েছে। এগুলো ওয়েস্টবিনে ফেললে তো পচে গন্ধ বের হবেই। তখন আশেপাশের দোকানদাররা বাধ্য হয়েই উল্টে রাখে।”
এটি ব্যবহারে মানুষ সচেতন কিনা এ নিয়ে তিনি বলেন, “প্রথম দিকে আমরা সচেতনতার জন্য অনেক ক্যাম্পেইন করেছি। টিভি-চ্যানেল ও পত্রিকাতেও সচেতনতার জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। মানুষ ওয়েস্টবিন ব্যবহারে অভ্যস্ত নয়। আশা করি কয়েক বছর পর পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে।”
শাহজাহানপুরে দেখা গিয়েছে ডাস্টবিনের বিধ্বস্ত অবস্থা। একটি ডাস্টবিন ফ্রেমসহ উপড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এলাকাটি ঢাকার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হামিদুল হক শামীমের দাবি তার এলাকার শতকরা দু একটা ওয়েস্টবিনের অবস্থা এমন।
নষ্ট হওয়া ওয়েস্টবিনের জায়গায় নতুন ওয়েস্টবিন বসানোর আশ্বাস দেন তিনি।
তিনি বলেন, “কিছু উলটানো ওয়েস্টবিন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঠিক করে দেয় সকালে।”
ওয়েস্টবিন বসানোর ব্যাপারে আরও পরিকল্পনা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “কিছু জায়গায় দেখা যায় একদম ওয়েস্টবিন নেই। আবার কিছু জায়গায় কাছাকাছি রয়েছে দুই-তিনটা। আরেকটু পরিকল্পনা করে এগুলো বসাতে হবে।”
ওয়েস্টবিন ব্যবহারে প্রচারণা চালান হচ্ছে বলে জানান তিনি।