মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ‘জীবিকায়নের জন্য মহিলাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচির আওতায় তিনমাস ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ চলবে।
স্বামীর সাথে বনিবনা না থাকায় কয়েক বছর ধরে মেয়েকে নিয়ে মায়ের বাড়িতেই থাকছেন সাবিনা ইয়াসমীন। স্বামীও কোনো খোঁজখবর রাখেননি।
ছয় বছর বয়সী মেয়ে মাহাজেবিন আরা মুসকানকে কিছুদিন আগে ভর্তি করিয়েছেন স্কুলে। মেয়েকে নিয়ে এখন যত স্বপ্ন সাবিনার।
নিজের ও মেয়ের দৈনন্দিন খরচ জোগাতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সেলাইয়ের। প্রশিক্ষণ নিতে আসা সবার উদ্দেশ্য নিজেকে স্বাবলম্বী করা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তাদের সঙ্গে কথা হয়।
সাবিনা ইয়াসমীন বলেন, "স্বামী খরচ দেয় না। নিজেই কাপড় সেলাইয়ের দোকান দেব বলে ঠিক করেছি। এতে মেয়ের লেখাপড়ার খরচে সমস্যা হবে না। "
সাবিনার মতো যেন বিয়ের পরে স্বামীর উপর নির্ভর করতে না হয় এজন্য আগে থেকেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান শাহনাজ পারভীন।
অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ার পাশাপাশি তিনিও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সেলাইয়ের।
শাহনাজ বলেন, "এখানে কাজ শিখে দোকান দেব। সেখানে অন্য মেয়েদেরও কাজ করার সুযোগ দেব।"
এরই মধ্যে প্রশিক্ষণ শেষ করে ফেলেছেন আলেয়া বেগম। তিনি জানালেন, এখন ঋণ নিয়ে দোকান দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, "আমার এক ছেলে ডিগ্রীতে পড়ছে আর মেয়ে এইচএসসিতে। তাদের দু’জনের পড়ালেখার খরচ জোগাতে যাতে কষ্ট না হয় তাই প্রশিক্ষণ নিচ্ছি।"
প্রশিক্ষক ফেন্সী বেগম জানান, অনেকেই প্রশিক্ষণ নিয়ে দর্জির দোকান দিয়েছে। এতে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাকিনা বিনতে শরীফ বলেন, "নারীরা এখন আর ঘরে বসে থাকতে চান না। তাই প্রশিক্ষণ শেষে কেউ যদি ঋণ নিয়ে নিজে কর্মসংস্থান করতে চান সেই সুযোগও দেওয়া হচ্ছে।"