বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২০১৬ সালের বার্ষিক পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শুরু হচ্ছে নতুন এ কার্যক্রম। কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে স্বীকৃতি পৌঁছে দিতে এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এই ধারাবাহিকতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমরা আশা করছি।”
মানসম্মত বই, চিঠি আর ফুল উপহার দিতে জেলা প্রসাশক (ডিসি)ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনউ) চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মেধাবীদের জন্য পত্রের খসড়াও তৈরি করে পাঠিয়েছে সরকার।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে মাঠ প্রসাশনের কর্মকর্তাদের পাঠান ঐ চিঠিতে বলা হয়, “শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হলে তারা আরও উৎসাহিত হবে, প্রশাসনের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক স্থাপিত হবে।... বিভিন্ন সমাজিক বিশৃঙ্খলা সংক্রান্ত তথ্যাদির দ্রুত আদান-প্রদান হবে, স্টুডেন্টস জার্নালিজম সৃষ্টি হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসমৃদ্ধ জঙ্গিবাদমুক্ত সুনাগরিক সৃষ্টি হবে।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সদস্য, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে চিঠি ও উপহার দিতে বলা হয়েছে ইউএনওদের।
সেই সঙ্গে পত্র পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা, তাদের অনুভূতি, ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক, সাধারণ মন্তব্যসহ একটি প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
পরে জেলা প্রশাসকরা সামগ্রিক বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাবেন।
এসএসসি, এইচএসসি, স্নাতক-স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষার মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারিভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হলেও এর আগে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না।