২০১০ সাল থেকে সরকার কর্তৃক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। বছরের প্রথম দিনকে পালন করা হচ্ছে বই উৎসব হিসেবে।
বই উৎসবের প্রতিক্রিয়া জানতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয় হ্যালোর।
মেরুল বাড্ডার সিরাজ মিয়া মেমোরিয়াল মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে সাফোয়ান আহমেদ আফসান।
বই পেয়ে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তার সাফ উত্তর, "ইংরেজি বইটা দেখেছি। অনেক অনেক কঠিন।"
কথা বলার সময় বিরক্ত নিয়ে বলে, "আমি এখনই পড়তে চাই না। আরও কয়েকদিন খেলব।"
বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া রাসিন জানায় বই পেয়ে সে অনেক খুশি। বাংলা বই অর্ধেক পড়াও হয়ে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যে তার সবগুলো বই শেষ হয়ে যাবে।
রাসিনের সহপাঠী নাহিয়ানেরও একই কথা। তার বেশ উচ্ছ্বাস। সে বলে, "বইয়ের ডিজাইনটা অনেক সুন্দর। স্বচ্ছ মলাট লাগাব। যাতে বইয়ের মূল মলাট ঢেকে না যায়।"
বাড্ডা আলাতুন্নেছা স্কুলের সামনে কথা হয় সায়মা, মায়শা ও তানহা নামের তিন বন্ধুর সঙ্গে। তারা এবার পিইসি দিয়েছে। কিন্তু বই উৎসবে এসে জানতে পেরেছে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা বই পাবে না। তাদের বেশ বিমর্ষ মনে হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া হ্যালোর ক্ষুদে সাংবাদিক ফারহান ইমরোজ মাহি বলে, "আমাদের সব বই দেওয়া হয়নি, আমি তিনটা পেয়েছি। তবে এবার বইয়ের প্রিন্ট, ডিজাইন, পেজ কোয়ালিটি অনেক সুন্দর। ভালো লেগেছে।"
সে আরও বলে, "পাঠ বইয়ের ব্যাক কভারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বেশ শোভা পেয়েছে। কিন্তু যে স্লোগানটা রয়েছে এটা আমার মনে হয় রাজনৈতিক বিলবোর্ডে থাকে। তাই পাঠ্য বইয়ে স্লোগানটা ভালো লাগেনি।"
তারপর হ্যালোর সঙ্গে কথা বলে নূরি জান্নাত প্রান্তি নামের একজন। সে উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল থেকে জেএসসি দিয়েছে।
সে বলে, "বছরের প্রথম দিনে বই পাইনি, খারাপ লাগছে। নাইনে ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত বই পাব না স্যার জানিয়েছেন।"
প্রান্তির মতো একই কথা গাজিপুরের কাওরাইদ কেএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পাস করা দিদারুল ইসলামের।
কুমিল্লা মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী হ্যালোকে মুঠোফোনে জানায়, তাদের স্কুলে বছরের প্রথমদিন বই দেয়নি। বই আনতে গেলে সে জানতে পারে, পরের দিন বই দেওয়া হবে।