তার নাম হাবিবুর ইসলাম। বয়স ৫০ এর কোঠায়।
হাবিবুরের বাড়ি দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরে। দেশ বিভক্ত হওয়ার পর পরই ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে তার বাবা দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ আসেন। তারপর থেকে এখানেই আছেন তারা।
অনেক কষ্ট করে তিনি কিছুদূর পড়ালেখা করেছেন। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও পরবর্তীতে আর্থিক সংকটের কারণে পড়তে পারেননি।
তিনি বলেন, "ছোট থেকে সন্তানদের প্রতি লেখাপড়ার প্রতি খুব যত্নবান ছিলাম। তারাও আগ্রহী ছিল।"
সন্তানদের পড়াশোনা যেন অর্থের অভাবে পণ্ড হয়ে না যায় সেজন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন তিনি।
তার ভাইবোনের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা না করলেও নিজের সন্তানকে নিজের স্বপ্নের মতো করে গড়ে তুলছেন তিনি।
তিনি বলেন, “হামার বড় এক ব্যাটা পড়ছে এমএসসিতে, ছোট ব্যাটা বিএসসিতে। বড় বেটি পড়ছে রাজশাহী ভার্সিটিতে আর ছোট বেটি পড়ছে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে।”
ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগাড় করতে গাছ বিক্রি করেছেন, আবার কখনও জমি বন্ধক রেখেছেন।
তিনি বলেন, "অনেক কষ্ট করেছি। কিন্তু কারো কোনো সাহায্য নেইনি। ছেলেমেয়েকে নিজের কষ্টের উপার্জন দিয়ে মানুষ করতে চাই।"
তার ছেলেমেয়েরা যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে সেজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই বাবা।