ভাঙন রোধ করতে না পারলে আগামী বর্ষাতেই দুই নং চর যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ধরলার গর্ভে চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদী থেকে মাত্র ১৫-২০ হাত দূরে রয়েছে স্কুলটি।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, স্কুলটি নদী গর্ভে চলে গেলে বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর পড়ালেখা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ফৌরদোস হাসান বলে, "স্কুলের মাঠের সামনোত নদী। খেলাধুলা করতে ভয় নাগে, পানিত পড়ার ভয়ে আমরা খেলতে পাই না।"
সাঁতার জানে না বলে স্কুলে আসতে ভয় পায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নূরবানু।
এলাকাবাসী জানায়, নদীর পানি কমতে শুরু করায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আশে পাশের কয়েকটি বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুশ ৪৭ জন ছাত্র ও দুশ ৪০ জন ছাত্রী রয়েছে।
তিনি বলেন, " আমি এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।"
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোবাশ্বের আলী হ্যালোকে জানান, উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহলে জানানো হয়েছে।