সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার কাস্তোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, টিফিনে শিশুরা খিচুরি ও ডিম খাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদেকুল ইসলাম বলেন, "আমি যা আয় করি তা দিয়ে নিজেদের চলে না। ছেলেমেয়েকে তাই স্কুলে পাঠানর কথা চিন্তা করিনি।
"স্কুলে এখন মিড ডে মিল চালু হওয়ায় প্রতিদিন বাচ্চারা স্কুলে যাচ্ছে।"
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া বলেন, "অনেক সময় ক্ষুধা পেটে নিয়ে স্কুলে আসতে হতো। পড়ালেখায় মনোযোগ থাকত না। এখন স্কুলে খাবার পাই। ভালো লাগে।"
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহিনুর বলে, "স্কুলে দুপুরের খাবার না পেলে আমার হয়তো স্কুলেই আসা হতো না।"
পীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জিয়া বলেন, "আমরা সবাই এগিয়ে আসলে প্রাথমিক শিক্ষার মান আরো উন্নত হবে।"
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু হারেস বলেন, "স্থানীয়দের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলেই যেকোনো কর্মসূচি টিকিয়ে রাখা সম্ভব।"
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, "আমার আগে যে জেলা প্রশাসক ছিলেন তিনি ‘মিড ডে মিল’ স্কুল চালু করে গেছেন। বাকি স্কুলগুলোতেও খুব তাড়াতাড়ি মিড ডে মিল চালু হবে।"