এলাকাবাসী জানায়, সাঁকোর ভাঙা পাটাতনে পড়ে গিয়ে প্রায়ই আহত হয় ছোট শিশুরা।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকাবাসীর উদ্যোগে ব্রিজের পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। টাকার অভাবে বাকি কাজ থেমে আছে।
জানা যায়, এলাকাবাসী ৮০ হাজার টাকা দিয়ে আটটি পিলার তৈরি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস আলী জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই সাঁকো দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে। এছাড়াও কৃষকরা পণ্য নিয়ে এই পথে বাজারে যান। সবাই খুব ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হন।
মোহাম্মদ হেলাল নামের এক অভিভাবক বলেন, "আমার ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট ছেলে একা যাওয়া আসা করে। ভয় হয়।"
চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া বন্যা বলে, "সাঁকো পার হতে খুব ভয় হয়। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু সাঁকো থেকে নদীতে পড়ে যায়।"
ঐ গ্রামের আরো কয়েকজন বাসিন্দা জানালেন, ব্রিজের পিলার নির্মাণ হয়েছে। বাকি কাজটা সরকারিভাবে করে দেওয়া হোক।
পিলার নির্মাণের উদ্যোক্তা আবুল হাসেম বলেন, "একদিন আমি এই সাঁকো পার হচ্ছিলাম। সেদিন আমার চোখের সামনেই এক শিশু পানিতে পড়ে যায়। আমি তখন ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করি।
"তারপর এলাকার ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ টাকা তুলে পিলার তৈরি করি। বাকি কাজটা সরকারি সহযোগিতায় যদি শেষ করা হয় তবে এ গ্রামের মানুষের চলাচলে সুবিধা হবে।"
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, "বিষয়টি অবগত আছি। উপেজলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করে শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"