ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন হ্যালোকে বলেন, "এ সপ্তাহেই অপারেশন করা হবে। শনিবার সকালে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
সম্প্রতি হ্যালোর সঙ্গে কথা হলে তিনি রিপনের পুষ্টিহীনতার কথা তুলে ধরে বলেন, "ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। বর্তমানে নিউট্রেশন বিল্ড আপ করা হচ্ছে। এজন্য রক্ত দেওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "মনে হচ্ছে আবুল বাজনদারের (এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরুসিফারমিস) রোগেই ভুগছে ও।"
আবুল বাজনদারের অভিজ্ঞতাটা এখানে কাজে লাগাতে পারলে তারা সফল হবেন বলে জানান তিনি।
আবুলের মত রিপনের সমস্যা অতটা জটিল নয় জানিয়ে তিনি বলেন, "আমরা আশাবাদী।"
কথা হয় রিপনের বাবা মহেন্দ্র রায়ের সঙ্গে।
তিনি হ্যালোর ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি আমিনুর রহমান হৃদয়কে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, "হৃদয় ভাই আমাদের গ্রামে একটি বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে রিপনকে দেখে। সাতটা বছর ধরে ভুগতেছি বাচ্চাটাকে নিয়া। চিকিৎসা করাইতে করাইতে আমি নিঃস্ব।"
তিনি আরো বলেন, "এই খবর ছাপা হলে পুরা ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক আমাদের বাড়ি গেল। প্রশাসন টাকা দিল।
"আমি এখানে আসতে পারব, আমার সন্তান ভালো হবে চিন্তা ভাবনাতেও আসে নাই কোনদিন।"
রিপন হ্যালোকে বলে, "আমার ভালো লাগে না। আমি সুস্থ হতে চাই। আমি বাইরে গিয়ে খেলতে চাই।"
২১ অগাস্ট রিপনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
গত ১০ ও ১২ অগাস্ট শিশু রিপনের বিষয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসে।
শিশু রিপনের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কেটগাঁও গ্রামে।
এপিডার্মোডিসপ্লাসিয়া ভেরুসিফারমিসে আক্রান্ত হিসেবে বিশ্বে তৃতীয় রোগী ছিলেন আবুল বাজনদার।
এসব ক্ষেত্রে সচেতনতার জন্য জানতে চাইলে সামন্ত লাল সেন বলেন, "স্কিনে আঁচিল টাচিল দেখা দিলে বা ব্যতিক্রম কিছু লক্ষ্য করলে একজন ভালো এমবিবিএস ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।"
দূষিত, নোংরা পানি থেকে দূরে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।