হুঁশিয়ারিতেও থামেনি 'প্রশ্ন ফাঁসের' প্রচারণা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জেল জরিমানার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এসএসসি পরীক্ষার শুরু থেকে প্রকাশ্যেই ফেইসবুকে প্রশ্ন ফাঁসের প্রচারণা দেখা গেছে।

৪ ফেব্রুয়ারি 'সরকারি হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও এসএসসির প্রশ্ন 'ফাঁসের' প্রচারণা' শিরোনামে হ্যালো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে একটি সংবাদও প্রকাশ করা হয়।

পরীক্ষা প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখনও প্রচারণা চলছে বলে অভিযোগ করছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বোর্ডের এক পরিক্ষার্থী বলে, "আমি ফেইসবুক থেকে সাজেশন নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছি। কমন পড়ছে।"

কেন করছ জানতে চাইলে বলে, "সবাই তো করছে।"

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ফোন নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করে হ্যালোর এই প্রতিবেদক। তাকে জানানো হয়, টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন দেওয়া হয়।

সাহিদা আক্তার নামের এক অভিভাবক বলেন, "জেএসসিতে আমার ছেলে জিপিএ পাঁচ পেয়েছে।

"কিন্তু এখন দেখি টেক্সট বুক ছেড়ে মাঝরাতে ফেইসবুকে বসে থাকে। প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে কিনা খোঁজে।

"জানি না পরিণতি কি হবে।" 

নাসরিন পারভিন নামের আরেক অভিভাবক বলেন, "আমার বোনের জন্য প্রশ্ন জোগাড় করতে পারিনি।

"ওর বান্ধবীরা শুনেছি ফেইসবুকে প্রশ্ন পেয়েছে।"

প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে ১৪ বছর জেল ও কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

আর প্রশ্ন ফাঁসের যে কোনো ধরনের চেষ্টা চালালে পাবলিক পরীক্ষা আইনে চার বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে।

তথ্য প্রযুক্তি আইনে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে।

পহেলা ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে শিক্ষামন্ত্রী কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে আসছেন। বিভ্রান্তিসহ সব ধরণের প্রতারণা গোয়েন্দা টিম পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com