ওর নাম হানিফ। বয়স হবে আট ন বছর। বাবার নাম মুমিন। কলোনি থেকে বেশ দূরে গলির ভেতর এক বাসায় থাকে ওরা। ও সারাদিন নানা রকম শাক বিক্রি করলেও ছটা বাজলেই নাইট স্কুলে পৌঁছে যায় সময় মতো।
শাক বেচতে ওকে বাসা থেকে কলোনি পর্যন্ত অনেকটা পথ ওকে হেঁটে আসতে হয়। একশ টাকার মতো রোজগার হলেই বাবার হাতে টাকা পৌঁছে দিয়েই ওর কাজ শেষ হয় না। বাবা ভাঙ্গাড়ি আনা নেয়ার কাজে ভ্যান চালান। ভ্যান ঠেলার কাজে হানিফ বাবাকেও সাহায্য করে। সব কাজ শেষে যদি সময় পায় তাহলে ছোট ভাইটাকে কাছে রেখে মাকে সাহায্য করে।
এরপর তার ছুটি। ছুটি মানে কাজ থেকে ছুটি। কারণ তখন তার স্কুলে যাবার সময় হয়ে যায়।
আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাইট শাখায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে ও। ক্লাসে সে বেশ ভালো ছাত্র। সত্তর জন ছাত্রের ভেতর তার রোল ২৫। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ক্লাস চলে।
বাবা কথা দিয়েছেন ক্লাস ফোরে উঠলে তাকে দিবা শাখায় ভর্তি করে দেবেন। এ খবরে হানিফ খুব খুশি। নিজের উদ্যোগেই নাইট স্কুলে ভর্তি হয়েছিল ও। বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় হানিফ।