পরিক্ষার খাতায় কত নম্বর পেতাম সেটা জানি না। কিন্ত সাংবাদিকতাকে মনে ধারণ করেই আমার এগিয়ে চলা।
পত্রিকা টেলিভিশনের খবর পড়তে বা দেখতে ভালো লাগে। একদিন পত্রিকার মাধমে জানতে পারলাম সিলেটে হ্যালো বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য শিশুসাংবাদিক বাছাই করা হবে।
যেদিন খবরটি পড়েছি তারপর থেকে একটা রাতও ঘুমাতে পারিনি। শুয়ে শুয়ে ভেবেই কাটিয়ে দিতাম। আমি সাংবাদিক হবো।
আমার মাথায় সবসময় ঘুর পাক খেতে থাকে আমি কি শিশুসাংবাদিক হতে পারব। বাছাই পরীক্ষা দিতে গিয়ে ভয় আরও চেপে ধরল। শুনলাম মাত্র ২০ জনকে নেওয়া হবে। শুনেই মন খারাপ হয়ে গেলো। কারণ সেখানে অনেক শিশু এসেছিল পরীক্ষা দিতে।
পরিক্ষা শেষে জানানো হল যারা বাছাই পাশ করবে তাদের মোবাইল ফোনে জানানো হবে। আমি বাড়িতে অপেক্ষা করছিলাম কখন ফোন আসবে, কখন ফোন আসবে।
বারবার মনে হচ্ছিল স্বপ্ন বুঝি আর পূরণ হল না। মনে হয় নির্বাচিত হইনি। তাই ফোন আসে না। মোবাইলের দিকে তাকালেই কান্না চলে আসতো।
একদিন পরেই আমার সব ভয় দূর করে দিলো একটা ফোন। ফোনে রিং হতেই রিসিভ করে হ্যালো বলার সঙ্গে সঙ্গে ওপাশ থেকে কে যেন স্বপ্নপূরণের গল্প বলে উঠলো।
"তুমি শিশুসাংবাদিক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছ"
আমার সত্যিই কান্না চলে আসলো। এখন আমি শিশুসাংবাদিক। এই পরিচয় দিতে আমার খুব গর্ব হয়। শিশু সাংবাদিক হয়ে আমি খুব খুশি।