একটু এগিয়ে ওদের সাথে কথা বলি। জানতে পারি ওরা দুই জন বন্ধু। একজনের নাম রাজন আর একজন মামুন।
রাজন খাগড়াছড়ি কলেজ গেইট এলাকায় থাকে। ওরা পরিবারে মা বাবসহ চার জন। ছোট সংসার হলেও বাবার ঝালমুড়ি আর আচার বেচার টাকায় ঠিকমতো খাবার জোটে না। তাই দুবেলার খাবার জোটাতেই লেখাপড়া ছেড়ে নামতে হয়েছে রাস্তায়।
পড়ার কথা জানতে চাইলে জানায়, এখানের একটি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। কিন্তু অভাবে আর লেখাপড়া হয় নাই। তবে তার মায়ের খুব ইচ্ছা তাকে স্কুলে পাঠানোর।
খাগড়াছড়ি সদরের মোহাম্মদপুরে থাকে মামুন। ওর পরিবারের সদস্য পাঁচ জন। বড় ভাই সে ভূমি অফিসে চৌকিদারের কাজ করে। লেখাপড়া করে না কেন জানতে চাইলে বলে, বাবা গণশিক্ষা স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিল। কিন্তু পড়া হয়নি ওর। রাজমিস্ত্রি বাবার আয়ে সংসার চলে না পড়াতো অনেক দূরের কথা।
"সারাদিন বোতল টুকাইয়া যা পাই তা বেচে আমি নিজেই চলি। আমার স্কুলে যাইতে ইচ্ছে করে। কিন্তু করার কিছু নাই।"
খাগড়াছড়ি থেকে।দেশের নানা অস্থিরতার সাথে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুশ্রম। দেশের প্রতিটি জেলার রাস্তাতেই অনেক পথশিশু দেখা যায় যারা সবাই কোন কোন কাজ করে।
শিশু-কিশোর দেখা যায়। কেউ কেউ হাতে বস্তা নিয়ে, আবার কেউ কেউ ভাংগা চুরা বস্তা কিংবা ভ্যান গাড়ি নিয়ে। খাগড়াছড়ি সদরের উপজেলার নারানখাইয়াস্থ পথে দেখা হল এদের দু’জনের সাথে।