টাকা নেই পড়া গোল্লায়

কলেজ গেইটের দেলোয়ার মার্কেটের পাশে বসে লাকড়ি বিক্রি করছে এক কিশোর। কথায় কথায় জানলাম ও আল আমিন।

সে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলায় তবলছড়ি ইউনিয়নে থাকে। এখানে কয়েকদিন ধরে লাকড়ি বিক্রি করছে। ও আর ওর বাবা দুজন মিলে দোকানটা চালায়।

প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ বোঝা লাকড়ি বেচে। সে দোকানে থাকে আর বাবা ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে লাকড়ি বিক্রি করে। এক বোঝা লাকড়ির দাম ৫০ টাকা।

পরিবারে আর কে কে আছে জানতে চাইলে ও বলে, মা, দুই ভাই ও দুই বোন। সে সবার ছোট।

সে বাবার সাথে খাগড়াছড়িতে থাকে আর মা তবলছড়ি গ্রামে থাকে। সে তবলছড়ি মধ্য গড়গড়িয়া ফজলুল হাফেজিয়া মাদ্রাসা ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে। সেখানে তাকে হেফজখানায় থেকে পড়াশোনা করতে হতো।

থাকা, খাওয়া বাবদ মাসে আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হতো। আর্থিক অভাবের কারণে তার বাবার পক্ষে ওই খরচদেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

সে বলে, “আমারস্কুলে যেতে ইচ্ছা করে। বাবাকে অনেকবার বলে তা দেখছি।

"কিন্তু বাবা বলেন মাদ্রাসা যেতে। কিছুদিন যাওয়ার পর যখন বেতন দেওয়ার কথা ওঠে তখন বলে টাকা নাই। ঠিক মতো বেতন না দেওয়ায় মাদ্রাসা থেকে চলে আসতে হয় আমাকে।"

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com