সেখানে গিয়ে দেখা যায় এই পল্লীর শিশুরা অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত। একটি মাত্র খেলাধুলার ছোট মাঠ থাকলেও সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে পানি জমে যায়।
ছোট ছোট ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বড় হচ্ছে এখানকার শিশুরা। সেদিকে কারো নজর নেই।
হরিজন পল্লীর শিশুদের জন্য একটি বিদ্যালয় রয়েছে। সে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নোংরা। এর মধ্যেই শিশুদের পড়ান হচ্ছে।
শুধু লেখাপড়ার সমস্যা বা খেলার জায়গার অভাবই নয় পানি আর বিদ্যুতের অভাবে এখানের মানুষ খুব মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানির জন্য একটা পুকুর থাকলেও সেটা প্রায় আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া যাতায়াতের রাস্তার সমস্যাতো রয়েছেই।
হরিজন পল্লীর অধিবাসী নুংড়ে মুর (৬১) বলেন, "এ সমস্ত সমস্যার কথা স্থানীয় কাউন্সিলরকে অনেক বার জানানো হয়েছে।
"কিন্তু তিনি সমস্যা সমাধানে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না।"
হরিজন পল্লীর বাসীন্দা পুতুল (৪৫) বলেন,"আমরা শুধু সরকারিভাবেই না সামাজিক ভাবেও বঞ্চিত।
"সমাজের লোকেরা আমাদের নিজেদের থেকে দূরে রাখে।"
"আমাদের মহল্লার সামনের মোড়টিতে কোনো খাবারের দোকানে খাবার কিনতে গেলে তারা দেয় না।
"আমাদের মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার সময় বাজে ছেলেরা খারপ কথা বলে। সেই কারণে আমাদের মেয়েরা স্কুলে যেতে চায়না।
"অনেককেই কম বয়সে বিয়ে দিয়ে দিতে হয়।"
কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি হ্যালোকে বলেন,"পানির বিষয়টি রাজশাহীর ওয়াসা কতৃপক্ষের দায়িত্ব।
"আর বিদ্যুতের দায়িত্ব বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের। আমার সাধ্যের মধ্যে যতুটুকু সম্ভব আমি তাদের উন্নয়ন করার চেষ্টা করি।"