হাতের মুঠোয় সিডনি

অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্বের শান্তিপূর্ন শহরগুলোর মধ্যে তিন নম্বর।

এই সিটির একটি অন্যতম সৌন্দর্য হচ্ছে সিডনি টাওয়ার আই। এর উচ্চতা ৩৬০ ফুট। বিশ্বের যে সাতটি উঁচু টাওয়ার রয়েছে এরমধ্যে এটি একটি। এটা শহরের প্রাণকেন্দ্রেই অবস্থিত। এটি এমনভাবে তৈরি যাতে সেখান থেকে সিডনি শহরের চারদিকের সব কিছুই দেখা যায়। এখানে না এলে বা না উঠলে বোঝা যাবে না সে কি দারুণ অভিজ্ঞতা।  

সেখানে উঠার জন্য বড়দের ২৬ ডলার করে আর টিনেজ হলে ১৪ ডলার লাগে। ছোটদের জন্য কোন টিকিট লাগে না।

প্রবেশ টিকিটের সাথে ফোর ডি সিনমো দেখার সুযোগ রয়েছে। এখানে পাঁচ মিনিটের একটি ছবি দেখানো হয়। ছবিতে যখন যে দৃশ্য আসে মানুষের মাঝে সেই অনুভূতি তৈরি জন্য সেখানে তেমন পরিবেশ তৈরি করা হয়। পানির দৃশ্য দেখালে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়া হয়। আবার আগুনের দৃশ্য দেখালে হলের ভেতরে ধোঁয়া দেয়া হয়। আকাশের দৃশ্য দেখালে মেঘ দিয়ে দেয়া হয়। এটা হচ্ছে বাস্তবের সঙ্গে ফোর ডিকে মেলানোর একটি চেষ্টা। সিনেমা দেখার জন্য ফোর ডি চশমা হল কর্তৃপক্ষ টিকিটের সঙ্গে দেয়।

সিডনি টাওয়ারে লিফটে উঠার জন্য লিফটে প্রায় পাঁচ মিনিট সময় লাগে। এই সময়ে কান বন্ধ হয়ে আসে। তবে ভালই লাগে।

সিডনি টাওয়ারের উপর  থেকে দেখা যাবে সিডনি হারবার, সিডনি অপেরা হাউজ, সিডনি মাউন্টেন্ট, বোটানী বে, প্রশান্ত মহাসাগর। এছাড়াও দেখা যাবে সিডনির যে কোন ভবন।

সিডনি টাওয়ার আইয়ের ভেতরে রয়েছে অনেকগুলো বাইনোকোলার। সেটা দিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন স্থাপনা। আর ভবনের চারদিকেই লাগানো রয়েছে কোন স্থান থেকে বা কোন দিক থেকে কোনটি দেখা যাবে তার তথ্য। ফুটবল, ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছাড়াও রয়েছে মাদাম তুসোর জাদুঘর, সিডনি জাদুঘরসহ আরো বিখ্যাত সব স্থাপনা।

এখানে টাচ স্কিনে সব তথ্য দেয়া আছে। এছাড়াও এখান থেকে লিফট দিয়ে নিচে নামা ছাড়াও রয়েছে গাইডদের সাথে ভবনের পাস দিয়ে নামার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। কেউ চাইলে সেই অভিজ্ঞতাও নিতে পারবে। এই জন্য অবশ্যই সাহস থাকতে হবে। নিচে নামতে সময় লাগে প্রায় ৪৫ মিনিট।

সিডনি টাওয়ার আই দেখে শেষ করতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লাগে। প্রতিদিন সকাল নটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে এটি। তবে বছরের একটি দিন ২৫ ডিসেম্বর এই টাওয়ার বন্ধ থাকে।

এর ভেতরে খাওয়া দাওয়া, বিভিন্ন ধরণের সুভিনিয়রের দোকানসহ রয়েছে আস্ত একটা শপিং মল।

সিডনি টাওয়ারে ঢোকার পথেই রয়েছেন একজন ক্যামেরাম্যান। তিনি ছবি তুলে দিবেন। বাইরে বের হয়ে যাওয়ার সময় ওই ছবিটি আবার দর্শককে দিয়ে দেন। কেউ ছবি তুলতে চাইলে সেটাও পারবেন।

সিডনি টাওয়ার থেকে সিডনির রূপ একেবারেই অন্য রকম। যেন পুরো হাতের মুঠোয় সিডনি শহর। যদি কেউ বিকেল নাগাদ সেখানে যায় তবে তার সূর্যাস্ত দেখারও দারুন সুযোগ মিলবে।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com