মৌসুমীকে ইউনিসেফ-এর জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে আয়োজিত গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে আলাপ হয় তাদের।
হ্যালো: ইউনিসেফ এর সাথে কতদিন ধরে কাজ করছেন?
মৌসুমী: ২০১১ সাল থেকে ভলান্টিয়ার হিসেবে আমি ইউনিসেফ এর সাথে কাজ করছি। তবে এখন থেকে জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে শিশুদের উন্নয়নে কাজ করার আরও বেশি সুযোগ পাবো।
হ্যালো: শুভেচ্ছাদূত মনোনীত হওয়ার পর আপনার অনুভূতি কি?
মৌসুমী: আমি অনেক খুশি। ‘মৌসুমী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এসিডদগ্ধ নারী, মাদক প্রতিরোধসহ সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন র্যালি ও অনুষ্ঠানে আমি নিয়মিত অংশগ্রহণ করি।
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইউনিসেফ-এর অবদান অনেক। এবার ইউনিসেফ এর শুভেচ্ছাদূত হিসেবে আমি শিশুদের জন্য আরও অনেক কাজ করতে পারবো।
হ্যালো: আপনার কি মনে হয় এই উদ্যোগ গ্রহণে আপনাদের বেশি দেরি হয়ে গেছে?
মৌসুমী: ইউনিসেফ অনেক আগে থেকেই এই উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে চলছে। তবে আমাদের অংশগ্রহণ কিছুটা দেরি হয়েছে।
হ্যালো: শিশুদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কি কর্তব্য রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
মৌসুমী: এক্ষেত্রে প্রথমেই অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করতে হবে। সন্তানের শিক্ষা কি শুধু ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার জন্য? অভিভাবকদের এই যে একটা চাপ এতে শিশুদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়। তাই আমি বড়দেরকে বলবো শিশুদের উপর কোনপ্রকার চাপ সৃষ্টি না করতে।
হ্যালো: প্রতিবন্ধী শিশুদের সম্পর্কে আপনার মতামত কি?
মৌসুমী: প্রতিবন্ধী শিশুরা বেশ মেধাসম্পন্ন হয়। কিন্তু তাদেরকে আমরা ফেলে রাখি। তাদের সবকিছুই তাদের মাকে কেন্দ্র করে। তাদেরকে যদি কোন বিষয় নিবিড় যতœ নিয়ে বোঝানো হয়, তাদেরকে যদি সম্পৃক্ত করে কোন কাজ করা হয়, তবে তারা সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে, এভাবে তারাও এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
হ্যালো: দরিদ্র শিশুদের পড়াশোনা কিভাবে নিশ্চিত করা যায়?
মৌসুমী: এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন করে তুলতে হবে। দেখা যায়, সরকারের ভাতা নেওয়ার জন্য তারা শিশুদেরকে স্কুলে পাঠায়। আবার ভাতা বন্ধ হয়ে গেলে তারা শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।
হ্যালো: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কয়টি সংস্থার সাথে আপনি কাজ করেছেন?
মৌসুমী: অনেক সংস্থার সাথেই কাজ করেছি। তবে প্রথম আলো ও ইউনিসেফ এর সাথে বেশি কাজ করা হয়েছে।
হ্যালো: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করি শিশুদের জন্য আপনার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
মৌসুমী: তোমাদেরকেও ধন্যবাদ।