হ্যালো- কেমন আছ, ভাইয়া?
অঞ্জন- ভাল আছি ভাই। আপনি কি কিছু বানাইতে দিবেন?
হ্যালো- না, তোমার দোকানে আমার কাজ নাই। আমি সাংবাদিক। তোমার সাথে কথা বলতে চাই।
অঞ্জন- আচ্ছা ভাই, খাড়ান হাতটা ধুইয়া নেই।
হ্যালো- তোমার বয়স কত?
অঞ্জন- ১৩ বছর।
হ্যালো- বাড়ি কোথায়?
অঞ্জন- আমার বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রায়ের গ্রাম।
হ্যালো- এখানে তুমি কি কর?
অঞ্জন- কাকার সাথে কামারের কাজ করি।
হ্যালো- কতদিন ধরে এখানে কাজ করছ?
অঞ্জন দেব- আমি প্রায় সাত মাস এখানে কাজ করছি।
হ্যালো- কেমন লাগে এই কাজ?
অঞ্জন- সারাদিন আগুনের পাশে থাকতে আর হাতুড়ি পিটাইতে খুব কষ্ট হয়।
হ্যালো- কেন করতে হচ্ছে এই কষ্টের কাজ?
অঞ্জন- আমি ক্লাস ফোর থেকে ফাইভে পাস করতে পারিনি। পড়ালেখাতেও মন ছিল না। আর বাড়িতেও অভাব। তাই আর পড়া হয়নি।
হ্যালো- বাড়িতে কে কে আছেন?
অঞ্জন- মা-বাবা আর আমরা পাঁচ ভাইবোন। আমার বড় ২ বোন। তারাও আমার মতন অভাবের কারনে পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। আমার ছোট ভাই ক্লাস টু-তে পড়ে আর ছোট বোনের এখনও স্কুলে যাবার বয়স হয়নি।
হ্যালো- বাবা কি কাজ করেন?
অঞ্জন- বাবা চুল কাটার কাজ করে।
হ্যালো- তুমি কত টাকা পাও?
অঞ্জন- দৈনিক ৭০ থেকে ১০০ টাকা পাই।
হ্যালো- কি কর তোমার টাকা?
অঞ্জন- সব টাকা বাবাকে দিয়ে দিই।
হ্যালো- তোমার কোন কাজ ভালো লাগে?
অঞ্জন- বড় হয়ে সরকারি চাকরি করার ইচ্ছা হয়।
হ্যালো- পড়ালেখা করতে কি মন চায়? সুযোগ পেলে পড়াশুনা করবে?
অঞ্জন- পড়াশুনা করতে খুব ইচ্ছা হয়। এখন পড়ার সুযোগ পেলে মন দিয়া পড়ব।
হ্যালো- আচ্ছা ঠিক আছে। ভালো থেক। আবার দেখা হবে।
অঞ্জন- আচ্ছা ভাই, আপনিও ভাল থাইকেন। আবার আসবেন।