হ্যালো- কতদিন থেকে এখানে লেখাপড়া করছ?
রিয়াজ- সাত বছর হলো।
হ্যালোঃ কিসে পড়?
রিয়াজঃ সরফ শ্রেণিতে (অষ্টম শ্রেণি)।
হ্যালোঃ তোমাদের কী কী বিষয় পড়ান হয়? ইংরেজি, গণিত এগুলো কি পড়ান হয়?
রিয়াজঃ আমাদের বেশিরভাগ বিষয় হলো আরবি নিয়ে। হ্যাঁ ইংরেজি, গণিত আছে। তবে খুব কম পড়ানো হয়।
হ্যালোঃ তোমাদের বিজ্ঞান পড়ান হয় না?
রিয়াজঃ নাহ।
হ্যালোঃ তোমার বয়সী যারা স্কুলে পড়ে তারা অনেকেই ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। তুমি কী পার?
রিয়াজঃ নাহ। আমাদের তো এসব তেমন পড়ান হয় না। পারবো কেমনে?
হ্যালোঃ এখন তো সবখানে ইংরেজি ভাষার উপর গুরুত্ব বেশি দেওয়া হচ্ছে। তোমার কি ইংরেজি শিখতে ইচ্ছা করে না?
রিয়াজঃ ইচ্ছা আছে ভাই এখনও। কিন্তু বাবা-মা তো এখানে ভর্তি করিয়ে দিলেন। নিজে থেকে কীভাবে সম্ভব হবে?
হ্যালোঃ বড় হয়ে কী হতে চাও?
রিয়াজঃ না ভাই। এখন আর এসব নিয়ে ভাবি না। আগে ভাবতাম শিক্ষক হব। এখানে (কওমি মাদ্রাসায়) পড়ে কি হতে পারব তাতো জানেনই। এখানে থেকে পাশ করলে তো আর সরকারি কোনো সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না। এখানে বলা হয় আখিরাতই সব। এটাই জীবনের উদ্দেশ্য।
হ্যালোঃ দেশের প্রতি তোমার ভাবনা কী?
রিয়াজঃ দেশ শান্তির এবং সুন্দর হোক। দেশের জন্য কাজ করতে চাই। কিন্তু সেটা কীভাবে সম্ভব! আমি তো আর সরকারি অফিস আদালতে চাকরি পাব না।
হ্যালোঃ ভালো থেক।
রিয়াজঃ আপনিও ভালো থাকবেন।