রিপন হ্যালোকে জানায়, ‘আমার আব্বা ফলের ব্যবসা করে আর মা মানুষের বাসায় কাম করে। আমরা তিন ভাই-বোন। সবার ছোট আমি।
আমারে সবচাইতে বেশি ভালবাসে মা, আব্বাও আদর করে। আমার বড় ভাই ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের স্কুলে পড়ালেখা করত। এখন উত্তরায় কাম করে।
শুধু বড় বোন বনশ্রীর আব্দুর রাজ্জাক স্কুল অ্যান্ড কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে।
আমিও কিশোরগঞ্জে প্রাথমিক বেসরকারি বিদ্যালয়ে থিরি পর্যন্ত পড়ছিলাম। এখনও পড়বার মন চায়।
কিন্তু আব্বায় কইছে 'পড়নের কাম নাই'। তাই এহন থাইকাই কামে লাগাইছে।
আমার ইচ্ছা যায় স্কুলে যাইতে। পাশের বাড়ির পোলাটাও পড়বার যায়।
প্রতিদিন সকালে দোকানে আসি। এখানে থাকি দুপুর পর্যন্ত। তারপর বাড়িত খাইবার যাই।
বিকালে আবারও আসি। মাঝে মাঝে বন্ধুগো লগে ক্রিকেট খেলি। সন্ধ্যায় দোকান থন ছুটি। রাইতে পাশের বাড়িত টেলিভিশন দ্যাখতে যাই।
টিভিতে বেন টেন, ডোরেমন দেখি। মাঝে মধ্যে বেন টেনের মত হইতে ইচ্ছা করে । কিন্তু বাবাই কইছে বড় হইয়া ফলের ব্যবসা করন লাগব।
পড়াশুনার সুযোগ হলে পড়বে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে সে বলে, “পড়বার খুবই ইচ্ছা করে। সুযোগ হইলে অবশ্যই পড়মু।'