ঠাকুরগাঁয়ে আমন ক্ষেতে পোকার আক্রমণ

ঠাকুরগাঁওয়ে আমন ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমণসহ নানা রোগ বালাইর কারণে উৎপাদন ব্যাহত হবার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ধান গাছের পাতা বিবর্ণ হওয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

এবার ঠাকুরগাঁওয়ের ৫টি উপজেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।

এসব জমিতে ব্রি-৩৩, স্বর্ণা-৪৩ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে এবং এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩৫ হাজার মে. টন।  

পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় কৃষকরা কীটনাশক ছিটাচ্ছে। কিন্তু এতেও কোনো ফল হচ্ছে না।

ভাতগাঁও গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী অভিযোগ করে বলেন, “কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তার দেখা নাই। পোকার কবল থেকে ক্ষেত বাঁচাতে ৪ বার কীটনাশক ছিটিয়ে কোনো সুফল পাচ্ছি না।”

কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, তার ২ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা, কিন্তু ধান গাছে পোকার আক্রমণের কারণে আবাদ থেকে সে খরচ উঠবে না। তাই ধান গাছ কেটে গরুকে খাওয়াচ্ছেন তিনি।

পুরাতন ঠাকুরগঁও গ্রামের মহসিনা খাতুন ২৫ শতক জমি ২ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে ধান আবাদ করেছেন।

তার ক্ষেতে পোকার আক্রমণে সব ধান গাছ বিবর্ণ হয়ে গেছে। ৪ বার স্প্রে করার পরও কোনো লাভ হয়নি।

মহাজনের টাকা পরিশোধের চিন্তায় মহসিনা আক্ষপ করে বলেন, “কারো সাহায্য পাই না, আমরা গরীব মানুষ, আমাদের কে খোঁজে!”

এবার কারেন্ট পোকা, লেদা পোকা, মাজরা পোকার উপদ্রপ বেশি বলে জানান মোলানী গ্রামের আব্দুল হক।

কৃষি বিভাগের জেলার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক নুরুস সফিউর রহমান বলেন, পোকার আক্রমণ তেমন নেই, সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পোকার দমন করা হয়েছে।

তবে যে এলাকায় প্রকোপ বেশি সে এলাকার পোকার দমন করার জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com